সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে চিনের (China) সঙ্গে এবার দ্বন্দ্বে জড়াল নেপাল (Nepal)। অভিযোগ, নেপালের ডাউলখা জেলায় সীমানা নির্দেশ করে এরকম প্রায় বেশ কয়েকটি পিলার আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই সুযোগে ওই এলাকায় নিজেদের সীমানা বাড়িয়ে নিয়েছে বেজিং। বেশ কয়েকমিটার ভিতরে পোঁতা হয়েছে চিনের পতাকাও। নেপালের দাবি, গোটাটাই চিনের চক্রান্ত। ইতিমধ্যে এই মর্মে নেপালের বিদেশমন্ত্রককে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে দু’দেশের সম্পর্ক।
জানা গিয়েছে, নেপালের সীমান্তবর্তী জেলা ডাউলখা’তে নেপালের ৬০ নম্বর সীমানা পিলারটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে, পিলারটি নদীতে ভেসে গিয়েছে। আর সেই সুযোগেই ৬০ নম্বর পিলারের পাশে চিনের দুটি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এক ইউরোপীয় সাংবাদিকের রিপোর্টে সামনে এসেছে সেই তথ্য। আসলে ১৯৬১ সালে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। কিন্তু তারপর থেকে লাগাতার নেপালের একাধিক এলাকায় সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চিন। এখনও পর্যন্ত এভাবে প্রায় ৭৬টি সীমান্ত পিলার তুলে ফেলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে তাইওয়ানের কাছে সমুদ্রে শক্তিপ্রদর্শন মার্কিন রণতরীর]
যদিও এই বিষয়ে নেপাল কখনওই সরাসরি চিনের বিরুদ্ধাচরণ করেনি। গতবছরও সেপ্টেম্বরে নেপালে এভাবেই অনুপ্রবেশ ঘটায় চিন। সীমান্তবর্তী হুমলা জেলায় ১১টি বাড়িও তৈরি করে। এরপর অনেকেই নেপালে চিনা দূতাবাসের সামনে বেজিংয়ের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। এমনকী এই প্রসঙ্গে চিনা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। বরং গোরখা, ডোলাখা, হুমলা, দারচুলা, সিন্ধুপালচক, রাসুয়া এবং সাঙ্খুওয়াসাভার মতো জায়গাগুলিতেও নিজের সীমান্ত ইচ্ছেমতো বাড়িয়েছে চিন। প্রতিবাদের বদলে চিনের সুরেই কথাও বলেছেন নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি শর্মা। আর তাই আরও একবার চিনা আগ্রাসনেরই শিকার হতে হল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট দেশটিকে।