সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয়েও হল না শাপমুক্তি! ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। রবিবার ছ’মাসে প্রথম কোভিডে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল চিনে। ফলে আবারও কড়া বিধিনিষেধ লাগু করছে কমিউনিস্ট দেশটির প্রশাসন।
চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, করোনায় (Coronavirus) মৃত্যু হয়েছে ৮৭ বছরের এক ব্যক্তির। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি রাজধানী বেজিংয়ের বাসিন্দা। ২৬ মে-র পর এই প্রথম চিনে কারও প্রাণ কাড়ল করোনা। সরকারি পরিসংখ্যান মতে, সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত চিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ জনের। এই পরিস্থিতিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বেজিংয়ে। ওই শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা চাওয়াংয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, অফিস এবং রেস্তরাঁও। সোমবার বেজিংয়ের বাসিন্দাদের বাড়িতেই থাকার আরজি জানিয়েছে প্রশাসন। ফলে অনেকেই ফের লকডাউনের আশঙ্কা করছেন।
[আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার মিসাইলের আওতায় আমেরিকা, বিস্ফোরক দাবি জাপানের]
এদিকে, চিনের (China) গুয়াংঝউ প্রদেশের বাইয়ুন অঞ্চলে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। নভেম্বরের ২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত জারি থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। উইচ্যাটে অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ‘ বাইয়ুন অঞ্চলে (করোনা) সংক্রমণের ভয় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খুবই জটিল।’
উল্লেখ্য, রবিবারই বেজিংয়ে নতুন করে ৫১৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। সার্বিকভাবে এই পরিসংখ্যান কম হলেও চিনে ‘জিরো-কোভিড’ নীতি মেনে লকডাউন ঘোষণা করার জন্য যথেষ্ট বলেই মনে করা হয়। গত শুক্র এবং শনিবারও চিনে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার ছিল। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন। বিশ্বে করোনা মহামারীর প্রকোপ অনেকাংশে কমে এলেও চিনে ফের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড। কঠোর কোভিড-নীতি সত্ত্বেও কীভাবে সংক্রমণ এহেন আকার নিয়েছে, উঠছে প্রশ্ন।