অভিষেক চৌধুরী, কালনা: টগর গাছে ফুটল জবা! প্রশ্নটা যতই হাস্যকর মনে হোক উত্তরটা কিন্তু ‘হ্যাঁ’। সবাইকে অবাক করে দিয়ে, পূর্বস্থলীর কৈবর্ত্যপাড়ার এক গৃহস্থের বাড়ির টগরগাছে জ্বলজ্বল করছে জবা ফুল। আর সেই বিস্ময়কর ঘটনা দেখতে ভিড় জমছে বাড়ির সামনে। কীভাবে বিজাতীয় ফুল ফুটল টগর গাছে? কোনও অলৌকিক শক্তি নাকি নেহাতই বিজ্ঞানের জারিজুরি? কীভাবে ঘটল এমন কাণ্ড?
রবিবার সকালে বাড়ির কর্ত্রী পার্বতী ঘোষ পুজোর জন্য টগর গাছ থেকে ফুল তুলছিলেন। সাদা টগর ফুল তুলতে-তুলতে ওই গাছেরই একটি ডালে ফুটে থাকা জবা ফুলটি তাঁর নজরে আসে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, এটা হয়তো ছোটদের কাজ। কিন্তু পরে সেই ফুলে হাত দিতেই তিনি দেখেন, যা ভাবছেন তা ঠিক নয়। জবাফুলটি ওই গাছের ডালেই ফুটে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরপর পাঁচ বছর! স্বচ্ছতায় দেশের সর্বসেরার রেকর্ড গড়ল এই শহর]
পার্বতী ঘোষ বলেন, “সকালে ফুল তুলতে গিয়ে দেখি একটি ডালে জবাফুল রয়েছে। আগে এইরকম ঘটনা ঘটেনি।” বাড়ির আর এক সদস্য রাখি ঘোষ বলেন, “প্রথমবার এইরকম এক ঘটনা সত্যিই আশ্চর্যের। এইরকম আগে কোনওদিন দেখিনি। আর তা দেখতেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন।” প্রতিবেশীদের একাংশের মতে, ঈশ্বরের দান এই ফুল। ফুলের মাধ্যমেই বার্তা পাঠিয়েছেন ঈশ্বর। যদিও তাঁদের সে কথা মানতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চ। কালনার বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য তাপসকুমার কার্ফার মতে, “ওই বাড়ির গাছে টগর-জবা গাছের কলম করানো হয়েছিল। তাই এরকম ফুল ফুটেছে।” যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের কথা মানতে নারাজ পরিবার।
[আরও পড়ুন: মহাকাশে জন্মাবে মানুষ, ঘুরতে আসবে পৃথিবীতে, ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ধনকুবের বেজস]
ব্যাখ্যা, পালটা ব্যাখ্যা, আলোচনা, গুঞ্জন তো থাকবেই। কিন্তু এসব ছাপিয়েও এখন সবারই মনে কৌতূহল। আর তাই গল্পের মতো সত্যি এই বিস্ময়কর ঘটনা চাক্ষুষ করতে বাড়ির সামনে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের বাসিন্দারা।