সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন সাংসদদের যাতায়াত নিয়ে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ চিন। রবিবার মার্কিন সাংসদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল তাইওয়ানে পা রেখেছে। সেই রাগে সোমবার ফের তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে দিল লালফৌজ। মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে চিনের তরফে। তবে কতদিন ধরে সামরিক মহড়া চলবে বা কী ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে মহড়া চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে বিশদে কোনও তথ্য জানানো হয়নি চিনের তরফে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে চায় চিনা লিবারেশন আর্মি। দেশের অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে সামরিক ভাবে তৈরি থাকতে চাইছে চিন (China)। তাইওয়ানের স্বাধীনতার নামে যেকোনও ধরনের বিছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। দরকার পড়লে সামরিক পদক্ষেপ করে তাইওয়ানের বিরোধিতাকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।” সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকা এবং চিনের আঁতাতের ফলে তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত ঘটছে। আমেরিকা যে চিনের অখণ্ডতায় হস্তক্ষেপ করতে উদ্যোগী, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরের ফলে সেই কথাই প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছে চিন।
[আরও পড়ুন: হামলার জন্য দায়ী রুশদি নিজেই! হামলার দায় এড়িয়ে বার্তা ইরানের]
সামরিক মহড়া কতদিন ধরে চলবে বা কোন এলাকায় মহড়া চালানো হবে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তাইওয়ানের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চিনের হুমকিতে মোটেই ভীত নয় তারা। বরং বলা হয়েছে, “আমাদের প্রতিবেশী অত্যন্ত শয়তান। বিদেশি অতিথিরা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” আমেরিকার (USA) তরফে এই সফর নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, “তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলে বারবার শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। সেই কারণে বাধ্য হয়ে ফের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে আমেরিকা। এইভাবে আমরা বার্তা দিতে চাই, যে চিনের আগ্রাসন নিয়ে আমরা ভয় পাই না। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে। আমেরিকা যে সব সময়ে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে, এই সফরের মাধ্যমে সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।”
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মার্কিন প্রতিনিধিদের। সেখানে আমেরিকা-তাইওয়ান সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য সরবরাহ প্রসঙ্গও বৈঠকে উঠে আসতে পারে। মার্কিন সাংসদদের এই সফরকে আমেরিকা-তাইওয়ান উষ্ণ সম্পর্কের নিদর্শন হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে তাইওয়ানের পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: ভারত ‘অপরিহার্য সহযোগী’, স্বাধীনতা দিবসে বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের]