সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনের দ্বিচারিতা। সম্প্রতি ব্রিকস সম্মলেনে পাক সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুলেছিল শি জিনপিং প্রশাসন। সম্মেলনের এক সপ্তাহের মধ্যেই চিনের ইউ টার্ন। দুনিয়াকে চমকে দিয়ে চিন জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের আত্মত্যাগ ভোলার নয়।
[চিনা ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত, চটে লাল বেজিং]
শুক্রবার বেজিংয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখান ওয়াং জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থানকে চিন পুরোপুরি সমর্থন করে। পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চিন সবরকম ভাবে পাশে থাকবে। প্রতিবেশীর দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। পাশাপাশি চিনের বিদেশমন্ত্রীর সংযোজন, পাকিস্তানের উন্নয়নে চিনে আগের মতো ইতিবাচক ভূমিকা নেবে। চিনের এই অবস্থান বদল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অথচ কয়েক দিন আগে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলি যে ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করেছিল তাতে কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার কথা বলা হয়ে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো পাক মদতপ্রাপ্ত সংগঠনগুলির নামও ছিল ওই ঘোষণায়। ব্রিকসের এই ঘোষণাপত্র পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা ছিল। ব্রিকসের মতে চিন সঙ্গ দেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। এর জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক ধাক্কা খাবে বলে মনে করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, পাকিস্তানের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক এখনই একইরকম রয়েছে চিনের। ব্রিকস সম্মেলন সন্ত্রাস নিয়ে চিনের অবস্থান স্রেফ যে কথার কথা তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
[নোট বদলাতে বিপাকে পড়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনরও!]
চিন বরাভয় দিলেও আমেরিকার চাপে জামাত নেতা হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিল পাকিস্তান। প্রায় ৬ মাস হল গৃহবন্দি মুম্বই হামলার অন্যতম প্রধান চক্রী। নিজের নেটওয়ার্ক ধরে রাখতে হাফিজ সংগঠনের নাম বদলে মিল্লি মুসলিম লিগ নামে নতুন দল তৈরি করে। এই রাজনৈতিক দল এবার পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য প্রচার শুরু করেছিল। দলের পোস্টার, ব্যানারে হাফিজ সইদের ছবি ব্যবহার করা হয়। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে প্রচারে হাফিজের ছবি দেওয়ার জন্য তাদের ভোটে লড়তে দেওয়া হবে না।