সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা তিব্বতের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি-কংগ্রেসের সাংসদদের ডিনারে যাওয়ার বিষয়টি মোটেই সুনজরে দেখছে না চিন (China)। দিল্লিতে ওই নৈশপার্টিতে হাজির হওয়ার জন্য মন্ত্রীদের চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করল চিনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর। হুমকির সুরেই তিব্বতের ওই গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন না করার জন্য দিল্লিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১২]
গত ২২ ডিসেম্বর ওই নৈশাহারে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির মানেকা গান্ধী, কে সি রামমূর্তি, কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ও মণীশ তিওয়ারি ও বিজেডির সুজিত কুমার। অনুষ্ঠানে ছিলেন তিব্বতি সংসদের স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা স্পিকার খেনপো সোনম তেনফেলও। এদিকে চিঠি পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেডির সুজিত কুমার বলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের ভারতীয় সাংসদকে এমন চিঠি দেওয়ার কে চিনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলর? এমন চিঠি লেখার স্পর্ধা হল কী করে? বিদেশমন্ত্রকের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত।”
চিনা দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সেলরের পাঠানো চিঠির বক্তব্য অনুযায়ী, এক মন্ত্রী ও ছয় সাংসদ চিনা বিরোধী তিব্বতি গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অকূটনৈতিক আচরণ করেছেন। চিনা দূতাবাসের কূটনীতিকের লেখা এই চিঠি বৃহস্পতিবার পৌঁছেছে ওই সাংসদদের কাছে। সাম্প্রতিককালে এমন ভাবে ভারতীয় সাংসদদের আচরণের বিরোধিতা করে এই প্রথম কড়া মনোভাব দেখাল বেজিং।
উল্লেখ্য, গায়ের জোরে তিব্বত দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। কয়েকদিন আগেই জানা যায়, বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠছাড়া করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তিব্বতের পার্শ্ববর্তী কুইংহাই প্রদেশের মঠগুলি থেকে বিক্ষুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে চিন। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একটি নয়া আইন আনে চিন। ওই আইনে বলা হয়েছে, নাবালকদের ভিক্ষু হিসেবে মঠে রাখা যাবে না। কোনও ধর্মীয় আচার আচরণে অংশ নিতে পারবে না তারা। তারপরই কুইংহাইর জাখিইউং-সহ অন্যান্য মঠ থেকে কমবয়সী সন্ন্যাসীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। মঠগুলিতে রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা।