সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাস তিনেক ধরে নাসার রোভার পারসিভিয়ারেন্সে (Perseverance) মঙ্গলের (Mars) লালমাটিতে নানা কীর্তি গড়েছে। এবার তার এক দোসর হাজির হতে চলেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই সপ্তাহান্তে, সম্ভবত শুক্রবারই মঙ্গলের (China) মাটি স্পর্শ করতে চলেছে চিনা মঙ্গলযান তিয়ানওয়েন-১ (Tianwen-1)-এর অংশ জুরং নামের রোভার। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি থেকেই মঙ্গলের কক্ষপথে পাক খাচ্ছে এই মহাকাশযান।
যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তাহলে অন্তত ৯০টি মঙ্গল দিবসে সেখানে ঘুরে বেড়াবে জুরং। এই দীর্ঘ সময়ে নানা নমুনা সংগ্রহ করবে সেটি। খতিয়ে দেখবে মঙ্গলপৃষ্ঠের গঠন। করবে বরফের সন্ধান। যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে আসে তবে সেটিকে বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণও করবে জুরং। মঙ্গল অভিযান নিয়ে অত্যন্ত উচ্চাশা রয়েছে চিনের। দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কর্তা চি ওয়াংয়ের দাবি, তাদের এই মিশনই এপর্যন্ত মঙ্গলে যত অভিযান হয়েছে, তার মধ্যে সেরা হতে চলেছে। সৌরজগতের চার নম্বর গ্রহের আবহাওয়া, ভূপৃষ্ঠ থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয়ে তারা পর্যবেক্ষণ চালাবে বলে দাবি তাঁর। তার ফলে লালগ্রহ সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় খোঁজ মিলল ভাল্লুকের ‘ডেরা’র! উৎসাহী বনকর্মীরা]
তবে সেসব আপাতত পরের কথা। এই মুহূর্তে চিনা বিজ্ঞানীরা উৎকণ্ঠায় রয়েছে রোভারের ‘সেফ ল্যান্ডিং’ নিয়ে। নামার পরে রোভারের সঙ্গে পৃথিবীতে অপেক্ষমাণ চিনা বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ থাকে কিনা সেটা নিয়েই উত্তেজনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকা ও রাশিয়া ছাড়া অন্য কোনও দেশই ভিনগ্রহের মাটিতে রোভার অবতরণ করাতে পারেনি। চিন পারলে নিঃসন্দেহে তারা নয়া নজির গড়বে।
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশ অভিযানে অনেকগুলি মাইল ফলক ছুঁতে চায় বেজিং। সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের প্রথম ধাপ গত ফেব্রুয়ারিতেই পেরিয়েছিল তারা। তখন থেকেই ঠিক ছিল মাস তিনেক মঙ্গলের কক্ষে পাক খেতে খেতে এর রোভার আলাদা হয়ে গ্রহটির পৃষ্ঠে অবতরণ করে সেখানে জীবনের চিহ্ন খোঁজার চেষ্টা করবে।