shono
Advertisement

আমেরিকার নির্বাচনে কলকাঠি নাড়ছে চিন! বাইডেনকে কী প্রতিশ্রুতি জিনপিংয়ের?

গত বছর বৈঠকে বসেছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
Posted: 06:48 PM Jan 31, 2024Updated: 09:08 PM Jan 31, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার নির্বাচনে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না চিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নাকি এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত বছর বৈঠকে বসেছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দুদেশের সম্পর্কের উন্নতিতে আলোচনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। এই আবহে মনে করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ফাটল আর হয়তো চওড়া করতে চান না জিনপিং। এমনিতেই বেজিংয়ের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের তথ্য হাতানোর অভিযোগ রয়েছে। তাই এই বার্তা দিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। 

Advertisement

সিএনএন সূত্রে খবর, থাইল্যান্ডে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। দুদিন ধরে প্রায় ১২ঘণ্টা আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, তাইওয়ান ইস্যু ও লোহিত সাগরে হাউথিদের হামলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য জোর দেওয়া হয়েছিল এই বৈঠকে। সেই সাক্ষাতেই সুলিভানকে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা দেন ওয়াং ই। তিনি বলেন, জিনপিং নিশ্চিত করেছেন যে বেজিং কোনওভাবে আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না।  

[আরও পড়ুন: গুজরাটে খুন থেকে মাদক পাচার! ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতিকে ৩৩ বছরের জেল ব্রিটেনে]

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া বলে অভিযোগ। ফলে এইবারের ভোটপ্রক্রিয়াকেও অন্যান্য দেশ প্রভাবিত করতে পারে। এই আশঙ্কাই এখন অন্যতম মাথাব্যথার কারণ মার্কিন প্রশাসনের। এই আবহে বেজিংয়ের এহেন প্রতিশ্রুতি কিছুটা হলেও বাইডেন সরকারের চিন্তা লাঘব করবে বলে মত কূটনৈতিক মহলের। কারণ একাধিক মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমেরিকার তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছে চিন। সাইবার হানা চালিয়ে চিনা হ্যাকাররা প্রার্থীদের তথ্য বদল করছে। জনতার কাছে কয়েকজন প্রার্থীর ভাবমুর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।

বলে রাখা ভালো, গত বছর নভেম্বর মাসে সান ফ্রান্সিস্কোয় বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেন ও জিনপিং। দুদেশের চিড় ধরা সম্পর্ক ঠিক করার ব্যাপারে আগামিদিনে পদক্ষেপ করা হবে জানিয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। গত বছরের জুন মাসে ওয়াশিংটনের আকাশে দেখা গিয়েছিল চিনের ‘গুপ্তচর’বেলুন। সেই বেলুনকে গুলি করে নামানো হয়। পরে জানা যায়, সেই চিনা বেলুন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমেরিকার উপরে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ানের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement