সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের (China) দাবি ‘আপত্তিকর’ বলে মনে করে জার্মানি (Germany)। ভারতে জার্মানির নয়া রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকেরম্যান প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রথমবার মস্কোর বিরুদ্ধে যাওয়াকে ‘উন্নতি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর কথায়, ”উত্তর সীমান্তে ভারতের সমস্যা সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে চিন যে দাবি করেছে তা আমরা ভুলিনি। এটা অত্যন্ত আপত্তিকর। আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে দেখতে পাচ্ছি, সীমান্ত লঙ্ঘন কতটা কঠিন সমস্যা। এটা একেবারেই গ্রহণীয় নয়।”
[আরও পড়ুন: কিশোরী কন্যার ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়ে ধর্ষণ, কাঠগড়ায় যোগীরাজ্যের পুলিশ অফিসার]
আর এই প্রসঙ্গেই তিনি উত্থাপন করেছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ডে জার্মানির আগ্রাসনের সঙ্গে বিষয়টির তুলনা করছেন অ্যাকেরম্যান। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় ওই ঘটনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। এবার মস্কোর এহেন পদক্ষেপে একই ভাবে আন্তর্জাতিক আইনকে মারাত্মক ভাবে উল্লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর এই সমস্যাকে ভারতের ভাল করে বোঝা উচিত বলেই মত তাঁর। আসলে ইউক্রেন ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত ভারত কার্যত ‘বন্ধু’ রাশিয়াকেই (Russia) সমর্থন জানিয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য জার্মানির রাষ্ট্রদূতের।
অ্যাকেরম্যান বলছেন, ”আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সমস্যাটা ভারত ভালই বোঝে। এই সমস্যাটিও (ইউক্রেনের সমস্যা) ভারতেরই মতো সমস্যা। কেননা আপনারাও আপনাদের উত্তর সীমান্তে একই জিনিস প্রত্যক্ষ করছেন। গত দু’বছর ধরে এই সমস্যার মোকাবিলা করে চলেছেন আপনারা।” আর এই প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, সম্প্রতি ভারত রাষ্ট্রসংঘে যেভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে তা এই ইস্যুতে ভারতের দিক থেকে ‘উন্নতি’র লক্ষণ।
[আরও পড়ুন: হঠাৎ ‘গায়েব’ চাঁচোল কলেজের ১৫ বিঘা জমি! UGC’র মান্যতা হারানোর আশঙ্কা]
উল্লেখ্য, ভারত আগেই জানিয়েছে, নয়াদিল্লির ওই ভোটদান কোনওভাবেই মস্কোর বিরুদ্ধে নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বক্তব্য রাখতে দেওয়ার সপক্ষে ভারত ভোট দিলেও একে রাশিয়া-বিরোধী মতামত বলে ধরা যাবে না বলেও জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তবুও জার্মানির রাষ্ট্রদূত একে রাশিয়ার বিরুদ্ধাচরণ বলেই চিহ্নিত করতে চাইছে। এখন দেখার ভারত জার্মানির এহেন দাবি সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কিনা।