সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিনপিংয়ের (Xi Jinping) স্বৈরাচারে অতিষ্ঠ। চিন থেকে ব্যবসা গোটাচ্ছেন ব্য়বসায়ীরা। বেজিং ছেড়ে ভিনদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন বহু বিত্তশালী মানুষজন। লক্ষ্য একটাই, অন্য দেশে স্বাধীন জীবনযাপন। একধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর।
গত দু’বছর ধরে প্রযুক্তি শিল্প, আবাসন শিল্প ও শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশাসনিক কড়াকড়ি বেড়েছে। যা চিনের ব্যবসায়ীর মধ্য়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুর পোস্টের দাবি, তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই জিনপিংয়ের অত্যাচার আরও বেড়েছে। যার জেরে বহু ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বিত্তশালীরা চিন ছেড়েছেন। নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ ও হেনলে পার্টনারের যৌথ রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যবসায়ী, ধনী ব্যক্তি চিন ছেড়েছে। প্রায় ১০ হাজার ৮০০ জন। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য চিন্তা বেড়েছে চিন প্রশাসনের।
[আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রের খসড়া আগাম জানতেন কুন্তল, পার্থর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল তথ্য]
বেজিং সূত্রে খবর, করোনা কাল কাটিয়ে ওঠার পর থেকেই চিনের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। একদিকে সে দেশের রপ্তানি নিম্নমুখী। তো অন্যদিকে মুদ্রাস্ফিতী কমলেও চিন্তা বাড়িয়েছে ব্য়াংকের ঋণনীতি। পড়েছে সম্পত্তি কেনাবেচাও। এমনকী, খুচরো বিক্রিও কমেছে অনেকটা। অভিযোগ, সে দেশের শিল্প-বাণিজ্যর এহেন অবস্থার জন্য দায়ী জিনপিং সরকারের কঠোর নীতি। বলা ভাল, তার স্বৈরাচার।
প্রসঙ্গত, চিনা (China) কোটিপতি এবং আলিবাবার (Alibaba) প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা (Jack Ma) চিন ছেড়েছেন। শি জিনপিং প্রশাসনের নয়া ব্যাংক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর থেকেই কোণঠাসা ছিলেন জ্যাক। ২০২০ সালের অক্টোবরে সাংহাইয়ে চিনা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। আসলে মার্কিন মুলুকের ‘দ্য এপ্রেনটিস’ টিভি শো’র আদলেই জ্যাক মা চালু করেছিলেন ‘আফ্রিকা’স বিজনেস হিরোজ’ নামে একটি অনুষ্ঠান। শোয়ের বিচারকের আসনেও দেখা যেত তাঁকে। সেই অনুষ্ঠান ঘিরেই বিপত্তি। সেখানেই সরাসরি শি জিনপিং প্রশাসনের নয়া ব্যাংক নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা। আর তারপরই চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কুনজরে পড়েন তিনি। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ করতে থাকে বেজিং। এমনকী অ্যান্ট গ্রুপ পরিকল্পিত তিন হাজার সাতশ’ কোটি ডলারের আইপিও আটকে দিয়েছিল চিন। শুধু জ্যাক মা নন, একই কারণে দেশ ছেড়েছেন বহু ব্যবসায়ী।