সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চললেও লাগাতার বাড়ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা। আগ্রাসনের পথ থেকে যে সরছে না চিন, তা স্পষ্ট করে এবার পাকিস্তানে দেখা গেল চিনা বায়ুসেনার তৎপরতা। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে তৈরি ভারত।
[আরও পড়ুন: লাদাখ সংঘর্ষের জের, চিনা নাগরিকদের ঘরভাড়া দিতে নারাজ দিল্লির হোটেল অ্যাসোসিয়েশন]
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের (Pakistan) তিনটি বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স’-এর বা চিনা বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, কান্দানওয়ারি, রহিম যার খান ও সুককুর বিমানঘাঁটিতে মজুত রয়েছে লালফৌজের কয়েকশো জওয়ান। জানা গিয়েছে, পাক বিমানঘাঁটিগুলিতে চিনের প্রায় ২০টি JF-17, J-20-সহ অন্য বিমান রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে পাকিস্তানের মদতে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে ‘সেকেন্ড ফ্রন্ট’ খুলতে পারে চিন (China) বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, গোটা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত (India)। চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দুই ফ্রন্টে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত ভারতীয় বায়ুসেনা। তবুও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সামরিক শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার কাছ থেকে ‘9K38 Igla’ মিসাইলের দ্রুত আমদানি করতে চলেছে ভারত। জমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটিতে ‘ইনফ্রারেড সিকার’ রয়েছে। এর মদতে ভারতীয় আকাশ সীমায় ঢুকলে চিনা ও পাকিস্তানী যুদ্ধবিমানকে সহজেই ধরাশায়ী করতে পারবে ভারতীয় ফৌজ। শুধু তাই নয়, লাদাখে লাগাতার টহল দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান। সব মিলিয়ে হানাদার চিনা ফৌজকে নাকানিচোবানি খাওয়াতে তৈরি দেশ। উল্লেখ্য, চিনের উপর চাপ সৃষ্টি করে সম্প্রতি পূর্ব চিন সাগরের কাছে মিসাইল মোতায়েন করেছে জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করেছে আমেরিকাও। নিয়তির পরিহাসে ও পরিবর্তিত সমিকরণে আজ ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে ১৯৭১ সালের আগ্রাসী মার্কিন নৌবহর।
[আরও পড়ুন: ‘মানসিকতা বদলায়নি, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে কংগ্রেস’, জরুরি অবস্থার বার্ষিকীতে তোপ অমিতের]
The post বাড়ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা, এবার পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়েছে চিনা বায়ুসেনা appeared first on Sangbad Pratidin.