সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই বাড়ছিল আশঙ্কা। কয়েক দিন আগে থেকেই জানা গিয়েছিল, চিনের (China) অতিকায় এক রকেটের (Rocket) ভিতরের ১০০ ফুট দীর্ঘ একটি অংশ, যার ওজন ২১ টন আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর বুকে! অবশেষে রবিবার, মালদ্বীপের কাছে ভেঙে পড়ল চিনের সেই রকেটের ধ্বংসাবশেষ। মিলল স্বস্তি। আজ চিনের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? আসলে মহাকাশে নিজেদের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে বেজিং। ‘তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন’ নামের সেই স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করার আগে এখন চলছে সলতে পাকানোর কাজ। পরীক্ষামূলক ভাবে ওই স্টেশনের একটি মডিউল, বলা যায় অংশকে পৃথিবীর কক্ষে পাঠানো হয় গত ২৮ এপ্রিল। আর এই কাজটি করার ভার ছিল লং মার্চ ৫বি রকেটটির উপরে। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল।
[আরও পডুন: ‘কন্যাশ্রী’র বিশ্বজয়! গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারে স্থান পেল মেমারির ছাত্রীর তৈরি মাস্ক]
মহাকাশ স্টেশনটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেও ফেলে রকেটটি। কিন্তু তার ভিতরের ১০০ ফুট লম্বা একটি অংশ রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তারপর তা তীব্রগতিতে ছুটে আসে পৃথিবী অভিমুখে।
তখন থেকেই বাড়ছিল আশঙ্কা। রকেটটির উপরে কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না চিনের। নিউ ইয়র্ক কিংবা মাদ্রিদের মতো শহরে তা আছড়ে পড়ার শঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছিল। উল্লেথ্য, এর আগে চিন আরও একটি মার্চ ৫বি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। সেবারও সেটি ভেঙে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইভরি কোস্টের বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সেটির ধাক্কায়। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই এবারও আতঙ্ক বাড়ছিল। অবশেষে সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ভারত মহাসাগরের বুকে আশ্রয় নিল রকেটটির ধ্বংসাবশেষ।
এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার জন্য চিনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই দায়ী করা হচ্ছিল। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডাওয়েলের মতে, ‘‘পুরো বিষয়টাই চিনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। একটা দশ টনের বিরাট ভারী বস্তুকে এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে পৃথিবীতে পড়তে দেওয়া যায় না।’’ কেন এই ধরনের ভারী বস্তুকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আরও অনেক বিজ্ঞানী।