সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার (Dalai Lama) উপরে নজরদারি চালানোর অভিযোগে আটক করা হল এক চিনা (China) মহিলাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিহার পুলিশ তাঁকে আটক করেছে বুদ্ধগয়া থেকে। এদিন সকালেই সং জায়োলাম নামের ওই অভিযুক্তের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল পুলিশ। তাঁর স্কেচও প্রকাশ করা হয়েছিল। শুরু হয়েছিল তল্লাশি। অবশেষে আটক করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্রানুসারে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্না। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। পরে অবশ্য চিনে ফিরে যান। এরপরও ফের ভারতে এসে নেপাল চলে যান সং। সেখান থেকেই তিনি বুদ্ধগয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। পুলিশ খবর পাওয়ার পর তাঁর স্কেচ প্রকাশ করার পাশাপাশি ওই মহিলার পাসপোর্ট ও ভিসার বিবরণ প্রকাশ করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ভিনরাজ্যে বিক্রি! উত্তরপ্রদেশ থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করল পুলিশ]
১৯৫৯ সালে চিনা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবল সমেত পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দলাই লামা। তারপর থেকেই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেজিং। দলাই লামা বহুবার ভারতের সাহায্য নিয়ে চিনের হাত থেকে তিব্বতকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছেন। সেই নেহরুর আমল থেকেই তাঁকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলেছে।
সেই টানাপোড়েনের মাত্রা যে এতটুকু কমেনি তা বারবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। গত জুলাইয়েও লামার ৮৭তম জন্মদিনে চিন খোঁচা দিয়ে বলেছিল, ভারতের উচিত চতুর্দশ দলাই লামার চিন-বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে বর্ষীয়ান ধর্মগুরু নিজের দেশ নয়, বারবার ভারতের প্রতিই কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছেন। এবার ফের তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় চিন।