অর্ণব আইচ: শহরের বুকে ফের আন্তর্জাতিক ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের এক অফিসে হানা দিয়ে চক্রের মাথা-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। উদ্ধার হল প্রচুর পেন ড্রাইভ, কললিস্ট এবং একাধিক মোবাইল। অভিযোগ, কলসেন্টার থেকে ভিনদেশের নাগরিকদের আর্থিকভাবে প্রতারণা চক্র চালানো হত।
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর থানার অন্তর্গত সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ একটি অফিসে অভিযান চালায় সিআইডি। দেখা যায়, অফিসের আড়ালে ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকদের প্রতারিত করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য ছিল ওই প্রতারণা চক্রের।
[আরও পড়ুন: ভারতে চিতার পুনরাবির্ভাব, নামিবিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে কুনো অভয়ারণ্যে ৮ চিতা ছাড়লেন মোদি]
কলসেন্টার থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে চক্রের কিংপিন শাহরুখ মহম্মদ। মহেশতলার বাসিন্দা। এছাড়াও মহম্মদ রমেশ, বিবেক সিং, পবিত্র সামাই এবং আনন্দ শ-কে হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। কলসেন্টার থেকে প্রচুর এইডিডি ড্রাইভ, বিদেশে প্রতারিতদের নামের তালিকা এবং প্রচুর সংখ্যক আইফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে কলকাতার আরও তিন জায়গায় অফিস খুলে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই কল সেন্টার থেকেই কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় বিছানো হয় প্রতারণার জাল। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিআইডি। শহরের তিনটি বাণিজ্যিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেন সিআইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া খুন: দিল্লি থেকে ধৃত ‘সুপারি কিলার’ কানহাইয়া কুমার]
সিআইডির এক কর্তা জানান, মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট এলাকা, বউবাজার এলাকা ও শেক্সপিয়র থানা এলাকার পার্ক স্ট্রিটের উপর তিনটি অফিসে চলে সিআইডির তল্লাশি। মোট ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া উদ্ধার হয় একটি বিলাসবহুল গাড়িও। এছাড়াও অফিসগুলি থেকে প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র, নোটবুক, রেজিস্টার খাতা, ডায়েরি, ভাড়া ও লিজের চুক্তিপত্র, বেশ কিছু মোবাইল, সিম কার্ড, ল্যাপটপ উদ্ধার হয়। শুক্রবার এই ভুয়ো কল সেন্টারগুলি থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২০ জনকে পুরুলিয়ার সদর আদালতে তোলা হয়। তাদের ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।