সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরু পাচারে (Cow Smuggling) যুক্ত সন্দেহে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার আরও এক। এবার সিআইডির জালে এনামুল ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাস। সিআইডি (CID) সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ তাকে বসিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। শনিবার সম্ভবত তাকে আদালতে পেশ করা হবে। আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে গরু, কয়লা ও সোনা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও সে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে এবার এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের পর তার সঙ্গে এই পাচারকারীর যোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান রাজ্যের তদন্তকারীদের। কেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) গ্রেপ্তার করেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছর থেকেই গরু পাচার কাণ্ডে রাঘব বোয়ালদের ধরতে তৎপর হয়েছিল সিবিআই (CBI)। সেবারই চক্রের মূল কাণ্ডারী এনামুল হকের ঘনিষ্ঠ বসিরহাটের (Basirhat) ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গোয়েন্দাদের দাবি, আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আবদুল বারিক বিশ্বাস। কিন্তু তার আড়ালেই চলছিল তাঁর অবৈধ ব্যবসা।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বিতর্ক: সমালোচনার মুখে পড়ে দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি, ক্ষমা চাইলেন অধীর চৌধুরী]
উল্লেখ্য, বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বাড়ি ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসের। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বাস পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। এর আগে সে ছিল বাম নেতাদের ছত্রছায়ায়। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের ক্ষমতা হারাতে দেখে বারিক শিবির বদলের পরিকল্পনা করেন। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। পাশাপাশি চোরা কারবারও চলে রমরমিয়ে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবৈধভাবে কয়লা, গরু, সোনা পাচারের অভিযোগে আগেও বেশ কয়েকবার তাকে বিএসএফ, কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক বিভাগ ও আয়কর দপ্তরের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের টানে প্যারিস থেকে পাড়ি পাণ্ডুয়ায়, সেই বন্ধুর সঙ্গেই এবার ছাদনাতলায় তরুণী]
সিআইডি এদিন তাকে গ্রেপ্তারের পর জানিয়েছেন, তৃণমূল (TMC) নেতাদের সঙ্গে ভাল যোগাযোগ ছিল তার। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে সোনা, গরু কেনাবেচা করত আবদুল বারিক বিশ্বাস। মনে করা হচ্ছে, অর্পিতার ফ্ল্য়াটে পাওয়া সোনা আবদুল বারিকের মাধ্য়মেই কেনা হয়েছিল। সিআইডি তদন্তকারীরা মনে করছে, ইডি তাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিলে আরও দ্রুত অনেক তথ্যই সামনে আসত।