সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুশয্যাতেও সিনেমাকে আঁকড়ে রেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই কিংবদন্তি অভিনেতার অসুস্থ হওয়ার খবর নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ফিসফাস শুরু হয়েছিল। তবে দেওল পরিবারের তরফে বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনা হলেও ঘনিষ্ঠরা জানতেন সেকথা। সেসময়েই জ্যেষ্ঠপুত্র সানি দেওলের একটি সিনেমা দেখেছিলেন ধর্মেন্দ্র। যে ছবি বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আলো দেখার অপেক্ষায়। সিনেমাটি দেখার পর ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে সেই অজানা কথাই ফাঁস করলেন আমির খান।
'গদর ২'-এর পর সানি দেওল 'লাহোর ১৯৪৭' ছবিতে অভিনয় করেন। যে সিনেমার প্রযোজক আমির খান। বিগত কয়েক মাসে নাকি সেই সূত্রেই দেওলদের বাড়িতে যাতায়াত বেড়ে গিয়েছিল প্রযোজক-পরিচালক তথা অভিনেতার। ৫৬তম ইফি'র মঞ্চে ধর্মেন্দ্রর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আমির জানান, "আমি ভাগ্যবান যে মৃত্যুর আগে ধরমজির সঙ্গে বেশ অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছি। আর সেই সূত্রেই সানি দেওলকে নিয়ে আমরা যে 'লাহোর ১৯৪৭' ছবিটি তৈরি করেছিলাম, সেটা ওঁকে দেখানোর সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। উনি সিনেমাটা মন দিয়ে দেখেওছিলেন।" আমিরের সংযোজন, "সিনেমাটা যদিও এখনও মুক্তি পায়নি তবে ধরমজিকে দেখাতে পেরে আমার ভালো লেগেছে। কারণ এটা ওঁর পছন্দের তালিকার অন্যতম চিত্রনাট্য ছিল।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের তাজ ল্যান্ডস এন্ডে দেওল পরিবারের তরফে আয়োজিত ধর্মেন্দ্রর স্মরণসভায় যোগ দিতে পারেননি আমির। কারণ এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে ইফি'তে আমন্ত্রিত ছিলেন অভিনেতা। তবে গোয়াতে থাকলেও তাঁর মন যে মুম্বইতে পড়েছিল, সেকথাও জানাতে ভোলেননি আমির। তিনি বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত আজ স্মরণসভায় যোগ দিতে পারলাম না। তবে বিগত কয়েক বছরে ওঁর খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলাম। বিশেষ করে গত একবছরে সাত-আট বার দেখা হয়েছে আমাদের। কারণ ধর্মেন্দ্রজির সঙ্গে সময় কাটাতে, ওঁর পাশে বসে থাকতে আমার খুব ভালো লাগত।" একবার ছেলে আজাদকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন আমির খান।
