সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসখানেক আগে মাকে হারিয়েছেন। উপরন্তু সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কের জল্পনার জেরে আইনি জটিলতাতেও পড়তে হয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez)। শ্রীলঙ্কা-সুন্দরী যে বছর খানেক ধরেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তা বললে অত্যুক্তি হবে না! তবে ব্যক্তিগতজীবনে এত ঝড়ঝাপটার মাঝেও কিন্তু থেমে থাকেননি জ্যাকলিন। এবার নিজের দুঃসময়ের মাঝেই পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন অভিনেত্রী। বড়দিনে 'সান্টা' সেজে পথশিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন জ্যাকলিন।
বুধবার রাত থেকেই বিশ্বজুড়ে ক্রিসমাসের আবহ। বড়দিনের মায়াবী আলোয় সেজে উঠেছে মায়ানগরী। আর উৎসব মানেই তো আপনজন, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, বেজায় আনন্দ। বড়দিন হলে তো কোনও কথাই নেই। কেক-পেস্ট্রি সহযোগে দেদার পার্টি। তার সঙ্গে নতুন জামা-কাপড়, জুতো তো আছেই! কিন্তু ওরা? যারা পথের ধারে খোলা আকাশের নিচে বসে শুধু নতুন বছরের আনন্দে আতসবাজির রোশনাই দেখে! ক্রিস্টমাস পার্টি তো দূরে থাক, এই হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় ওদের গায়ে দেওয়ার পোশাক অবধি নেই। সম্বল বলতে কয়েকটা কাপড়। কেউ ভাবে না ওদের কথা! কিন্তু ভেবেছেন। ভেবেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। 'সিক্রেট' সান্টা সেজে রকমারি উপহার বিলিয়ে দিলেন পথশিশুদের মাঝে। কারও হাতে তুলে দিলেন ফুল। কারও হাতে বা চকোলেট। উপহার বিলির মাঝে আবার পথশিশুদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতেও দেখা গেল জ্যাকলিনকে।
বুধবারই জানা গিয়েছিল যে, বড়দিন উপলক্ষে সুকেশ চন্দ্রশেখর এবার জেলে বসে জ্যাকলিনকে লস অ্যাঞ্জেলসের আস্ত একটা প্রাইভেট ভিলা উপহার দিয়েছেন। সঙ্গে তাঁর 'বেবি গার্ল'-এর জন্য রোম্যান্টিক চিঠিও পাঠিয়েছেন। সেটা আস্ত প্রাসাদ বললেও অত্যুক্তি হয় না! রয়েছে নিজস্ব গলফ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল-সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নানা আসবাব। সুকেশের মন্তব্য, এই বাংলো দেখে নাকি খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও হিংসে করবেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে! সেই চর্চার মাঝেই পথশিশুদের জন্য 'সান্টা' হয়ে অবতরণ জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের।
