সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই বাংলার তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। স্ত্রী-পুত্র নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। অভিনেতা হিয়াবে তিনি ভীষণভাবে সফল। কিন্তু অনুরাগীদের সামনে বা কখনও ব্যক্তিগত জীবনকে সেভাবে প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে এবার অকপটে দাম্পত্য জীবন নিয়ে তাঁর স্বীকারোক্তি স্ত্রী শান্তা চৌধুরীর কাছে। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে কেন হঠাৎ স্ত্রী'র কাছে ক্ষমাপ্রার্থী চঞ্চল চৌধুরী?
অভিনেতার স্ত্রী শান্তা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক। ১৮ বছর তাঁদের দাম্পত্যের বয়স। একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। পুরো সংসারের হাল নিজে হাতেই শক্ত করে ধরে রাখেন তিনিই। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন সময় বিভিন জায়গায় শুটিংয়ে। কিন্তু স্ত্রী এত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেও অভিনেতা বিবাহবার্ষিকী মনে রাখতে পারেন না। এই আক্ষেপ নিয়ে এদিন সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানেই লেখেন যে, ২৭ আগস্ট তাঁদের বিয়ের দিন ছিল কিন্তু তিনি একেবারেই তা ভুলে গিয়েছিলেন। কোনওবছরই তাঁর খুব একটা এইসব বিশেষ দিন মনে রাখা হয়ে ওঠে না। তবে উলটোদিকের মানুষটাও এই নিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ করেন না। তবু তা সত্ত্বেও তিনি ব্যর্থ বলেই তাঁর মনে হয়, এমনই এক পোস্ট শেয়ার করেন চঞ্চল চৌধুরী তাঁর ওই লেখায়।
চঞ্চল চৌধুরীর এদিনের এই পোস্টে ছোটবেলার শুদ্ধ ও স্ত্রী শান্তার সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়। এই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, 'এই ছবিটা অনেক বছর আগের। আজ থেকে প্রায় পনেরো বছর আগের তোলা।সম্ভবত কোন এক পত্রিকার ফটো সাংবাদিক বাসায় এসে ছবিটা তুলেছিলেন। ছবিতে আমাকে,আমার স্ত্রী শান্তা এবং আমাদের ছেলে শুদ্ধকে দেখা যাচ্ছে শুদ্ধ তখন অনেক ছোট। আসল কথাই বলতে ভুলে গেছি। আজ যে আমাদের বিয়ের দিন,সেটাও যেমন ভুলে গেছিলাম। কততম সেটাও মনে করতে পারছি না! কিছুক্ষন আগে শান্তা যখন কিছু একটা লিখে মনে করালো,ভেতরে কিছুটা লজ্জা এবং অপরাধ বোধও কাজ করছিলো!!! সত্যিই আমার মনে ছিলো না। প্রায় বছরই এরকম ঘটে। অভিনেতা হিসেবে কিছুটা সফল হলেও,সাংসারিক জীবনে কিন্তু আমার ব্যর্থতার শেষ নেই। আর ভুলে যাওয়াটা আমার একটা অসুখের মতো। এত কিছুর পরেও সেখান থেকে তেমন কোন বড় অভিযোগ আসেনা বলেই এখনো টিকে আছি। ধন্যবাদ শান্তা শুভ বিবাহ বার্ষিকী।'
