সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেওল পরিবারের সিদ্ধান্তে নীরবেই বিদায় নিলেন বলিউডের 'হি ম্যান'। সোমবার দুপুরে আচমকাই ধর্মেন্দ্র প্রয়াণের খবর নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। চোদ্দ দিন আগে যে মানুষটি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন, দিন কয়েকের ব্যবধানে যে সেই মানুষটি চিরঘুমের দেশে পাড়ি দেবেন, সেটা সম্ভবত কল্পনাও করতে পারেননি ধর্মেন্দ্র অনুরাগীরা। উপরন্তু ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে পরিবারের তরফে বিবৃতি দেওয়া তো দূরঅস্ত, শেষযাত্রায় চূড়ান্ত পুলিশি কড়াকড়িতে প্রিয় তারকার মুখ পর্যন্ত দেখতে পারেননি অনুরাগীরা। শ্মশানের সামনে জমায়েত করে কেঁদেকেটেও লাভ হয়নি। অতঃপর তাঁদের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়েছে ধর্মেন্দ্রর দুই পুত্র সানি দেওল এবং ববি দেওলের উপর।
এদিন বলিউড 'হি ম্যান'-এর প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভিড় জমতে শুরু করে তাঁর জুহুর বাংলোর সামনে। পরে অবশ্য সেই জমায়েতের একটা অংশ চলে যায় ভিলে পার্লে শ্মশানের সামনে। উপলক্ষ্য, শেষবারের মতো একটিবারের জন্য প্রিয় তারকার মুখ দেখবেন তাঁরা। তবে ঠায় পায় দাঁড়িয়ে, পুলিশের কাছে হাজারও অনুনয়-বিনয় করেও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশি বলয়ের ফাঁক গলে ভিতরে যাওয়াও সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। অনুরাগীদের একটাই আক্ষেপ, শেষবারের মতো ধর্মেন্দ্রর দর্শন পেলেন না তাঁরা। ভিলে পার্লে শ্মশানের বাইরে থেকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতেই দেখা গেল তাঁদের ক্ষোভ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। অশ্রুসিক্ত চোখেই সানি-ববিদের উদ্দেশে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ধর্মেন্দ্র ভক্তরা। তাঁদের দাবি, "আর কোনওদিন সানি-ববির সিনেমা দেখব না। খুব ভুল করলেন এটা। একটাবারের জন্য ধর্মেন্দ্রকে শেষ দেখা দেখতে দিলেন না।" শুধু তাই নয়!
ভাইরাল ওই ভিডিওতে অনুরাগীরা বাকিদেরও সানি দেওল এবং ববি দেওলের সিনেমা না দেখার আর্জি জানিয়েছেন। ধর্মেন্দ্রর মতো কিংবদন্তির বিদায়বেলায় এত রাখঢাক নিয়ে ভক্তমহলে চর্চার অন্ত নেই। কেন ভারতীয় সিনেদুনিয়ার এহেন মেগাস্টারকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হল না? সোমবার থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, গান স্যালুটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ধর্মেন্দ্রকে আলবিদা জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রথমে। তবে পরে বেঁকে বসে দেওল পরিবার! জানা যায়, প্রথম থেকেই বিষয়টি মিডিয়াচক্ষুর অন্তরালে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। দিন কয়েক আগে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটাতেই নাকি পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন। সেই অভিমানেই বাবার মৃত্যুর খবর মিডিয়ার সামনে দিতে চাননি তাঁরা। তবে এহেন সিদ্ধান্তে পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমেছে আমজনতার মনে।
