সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর থেকেই অনুরাগীদের 'পাখির চোখ' তাঁর বায়োপিকের দিকে। বছরখানেক আগে ধর্মেন্দ্র নিজে জানিয়েছিলেন যে তিনি আত্মজীবনী লিখছেন। সেসময় থেকেই বলিপাড়ায় 'হি ম্যান'-এর বায়োপিক নিয়ে কানাঘুষো। সম্প্রতি অভিনেতার প্রয়াণের পর সেই জল্পনার পালে হাওয়া আরও বেড়েছে, বললেও অত্যুক্তি হয় না। কিন্তু ধর্মেন্দ্র ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন? স্বাভাবিকভাবেই ভক্তমহলে উঁকি দিয়েছে এমন কৌতূহল। তবে এপ্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ধর্মেন্দ্র নিজেই তাঁর বায়োপিকের জন্য অভিনেতা নির্বাচন করে গিয়েছেন।
নিজের আত্মজীবনীর পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য সলমন খানের উপরই ভরসা রেখেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। কিন্তু দেওলদের মতো আদ্যোপান্ত ফিল্মি পরিবারে সানি, ববি এমনকী নাতি রাজবীর থাকতে কেন ভাইজানে ভরসা রাখলেন ধর্মেন্দ্র? এপ্রসঙ্গে 'হি ম্যান' বলেছিলেন, "সলমনই একমাত্র আমার বায়োপিকে অভিনয় করতে পারে। আমার পছন্দের তালিকাই ওই সেরা।" আসলে পুত্রসম সলমন খানের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল ধর্মেন্দ্রর। এমনকী বলিউড সুলতানের ডাকাবুকো ব্যক্তিত্বের প্রতিও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কারণ 'হি ম্যান' নিজেও ছিলেন দাপুটে। যিনি একফোনে মুম্বইয়ের অপরাধজগতের ডনদের চুপ করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। এবং সেটা করেওছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই কি নিজের বায়োপিকে সলমনকে দেখতে চেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র? সেই উত্তর যদিও অধরা। তবে ২০১৫ সালে 'ফিল্মফেয়ার'-এর সাক্ষাৎকারে এমন ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র খোদ।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে যখন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলিউড অভিনেতা, তখনও মধ্যরাতে তাঁকে দেখতে ছুটে যান সলমন। এমনকী সোমবার অভিনেতার প্রয়াণের খবর পেয়েও ভিলে পার্লে শ্মশানে সকলের আগে ছুটে গিয়েছেন ভাইজান। আসলে সেলিম এবং ধর্মেন্দ্র দুজনেই সমবয়সি। উপরন্তু 'শোলে'র সময় থেকেই দুই তারকার দারুণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা কিনা পরবর্তীতে পারিবারিক বন্ধুত্বে পরিণত হয়। পরবর্তীতে দেওল পরিবারের আপদে-বিপদে সবসময়ে পাশে সলমনকে পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে।
