সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ভারতীয় সিনেদুনিয়ার মহীরুহ। ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য পদ্মভূষণে ভূষিত। পাশাপাশি প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ হওয়ার সুবাদে রাজনৈতিক মহলেও ধর্মেন্দ্রর 'স্টার পাওয়ার' একসময়ে চর্চিত ছিল। এহেন কিংবদন্তির বিদায়বেলায় এত রাখঢাক! এমনকী শেষকৃত্যে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পর্যন্ত জুটল না! এহেন নানা কৌতূহলের ভিড়ে জ্বলে উঠেছে বিতর্কের স্ফুলিঙ্গ।
বলিউডের 'হিম্যান'। আক্ষরিক অর্থে হিন্দি সিনেদুনিয়ার পয়লা 'মাচোম্যান'। পর্দায় যেমন দুঃসাহসের সঙ্গে 'গব্বরে'র সঙ্গে লড়েছিলেন, বাস্তবেও ঠিক তেমনই দাপুটে ছিলেন ধর্মেন্দ্র ওরফে ধরম সিং দেওল। যিনি একফোনে মুম্বইয়ের অপরাধজগৎকেও চুপ করিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। অভিনয় কেরিয়ারের পাশাপাশি ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে জিতে বিকানেরের সাংসদ হন ধর্মেন্দ্র। শুধু তাই নয়, সাড়ে ছয় দশকের ফিল্মি ইনিংসে তিনশোর বেশি সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎকে সমৃদ্ধ করেছেন। ধর্মেন্দ্রর ফিল্মোগ্রাফি বলে, হিটের সংখ্যায় তিনি অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানদের থেকেও এগিয়ে। তবুও কেন ভারতীয় সিনেদুনিয়ার এহেন মেগাস্টারকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হল না? সোমবার থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন। ধর্মেন্দ্রকে শেষবার দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপে তাঁর মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টা বাদেও আকুলি-বিকুলি পরিস্থিতি অনুরাগীদের। সকলের আক্ষেপ, 'দেওল পরিবার একবার অন্তত জানাতে পারত, শেষবারের জন্য দেখতে পেতাম।' এত বড়মাপের তারকার বিদায় কি এতটা নীরবে হওয়া উচিত ছিল? এমন প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু কেন ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্য নিয়ে এত রাখঢাক? এবার জানা গেল আসল কারণ।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, গান স্যালুটে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ধর্মেন্দ্রকে আলবিদা জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রথমে। তবে পরে বেঁকে বসে দেওল পরিবার! জানা যায়, প্রথম থেকেই বিষয়টি মিডিয়াচক্ষুর অন্তরালে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। দিন পনেরো আগে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটাতেই নাকি পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক রেগে গিয়েছিলেন। সেই অভিমানেই বাবার মৃত্যুর খবর মিডিয়ার সামনে দিতে চাননি তাঁরা। সেই প্রক্ষিতেই দেওল পরিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ধর্মেন্দ্রর শেষকৃত্যের বিরোধিতা করে। যদিও পরিবারের তরফে এই তত্ত্ব নিশ্চিত করা হয়নি, তবে কানাঘুষো এমনটাই খবর বলিমহলে।
