সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির আগেই আইনি বিপাকে 'ধুরন্ধর'। রণবীর সিয়ের ছবির মুক্তি আটকাতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ শহিদ মেজর মোহিত শর্মার মা-বাবা। অভিযোগ, এই সিনেমা তৈরির আগে পরিবারের তরফে অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লি উচ্চ আদালেতর কাছে তাঁরদের আবেদন, আদিত্য ধর পরিচালিত তথা রণবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর'-এর মুক্তি যেন দ্রুত স্থগিত করা হয়।
পয়লা ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চর্চার শিরোনামে 'ধুরন্ধর'। অতিরিক্ত রক্তারক্তি ও হিংসাত্মক দৃশ্যের ঝলক দেখানোয় ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকী সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়েও জোর তরজা। যার অন্যতম কারণ, রণবীর সিংয়ের চরিত্রটি। তাঁর চরিত্রটিকে নাকি অশোক চক্র এবং সেনা মেডেলপ্রাপ্ত শহিদ মেজর মোহিত শর্মার আদলে সাজানো হয়েছে। এমনকী ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এই মোহিত যখন পাকিস্তানে ইফতিকার ভট্ট পরিচয়ে গিয়েছিলেন, সেই ঘটনার সঙ্গেও সিনেমার বিষয়বস্তুর সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছেন ওয়াকিবহালমহলের একাংশ। যদিও পরিচালক আদিত্য ধর সম্প্রতি এপ্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, "রণবীরের চরিত্রের সঙ্গে মোহিতের কোনও মিল নেই। মেজর মোহিত শর্মার জীবন থেকে 'ধুরন্ধর' মোটেই উদ্বুদ্ধ নয়, এটা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলাম আমি। ভবিষ্যতে যদি ওঁর বায়োপিক তৈরি করি, তাহলে ওঁর পরিবারের অনুমতি নিয়ে করব। আর এমনভাবে সেই সিনেমা বানাব, যাতে ওঁর ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হয়ে ওঠে আমাদের ছবি।" তবে এবার সিনেমার মুক্তি আটকাতে আদালতে মেজর মোহিত শর্মার পরিবার।
পিটিশনে মেজরের মা-বাবা সুশীলা শর্মা ও রাজেন্দ্র প্রসাদ শর্মার অভিযোগ, "পরিবারের তরফে অনুমতি না নিয়েই মোহিত শর্মার জীবন, গোপন অভিযান এবং আত্মত্যাগের ঘটনাবলি দেখিয়েছেন 'ধুরন্ধর' নির্মাতারা। যার মধ্যে মোহিতের নেতৃত্বে কাশ্মীরে গোপন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত। একজন শহিদকে 'বাণিজ্যিক পণ্য' করা উচিত নয়।" পরিবারের দাবি, "ভারতীয় ন্যায়সংহিতার ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এটা শহিদের মরণোত্তর ব্যক্তিঅধিকার লঙ্ঘন করে।" সংশ্লিষ্ট মামলায় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, সেন্সর বোর্ড, পরিচালক আদিত্য ধর এবং প্রযোজনা সংস্থা জিও স্টুডিওর নামও উল্লেখ করেছে মেজর মোহিত শর্মার পরিবার। আগামী ৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রণবীর সিংয়ের বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'ধুরন্ধর'। এবার প্রশ্ন, আইনি জটিলতার জেরে কি তাহলে মুক্তি পিছোবে?
