সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুক্তির আগেই আইনি বিপাকে 'ধুরন্ধর'। সম্প্রতি রণবীর সিংয়ের ছবির মুক্তি আটকাতে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শহিদ মেজর মোহিত শর্মার মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, এই সিনেমার বিষয়বস্তুর সঙ্গে শহিদ মোহিত শর্মার জীবনের মিল থাকলেও তৈরির আগে পরিবারের তরফে অনুমতি নেননি নির্মাতারা। সেই প্রেক্ষিতেই দিল্লি উচ্চ আদালতের কাছে আদিত্য ধর পরিচালিত তথা রণবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর'-এর মুক্তি দ্রুত স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন মোহিতের পরিবার। সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলায় রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
অভিযোগনামায় মেজরের মা-বাবা এও জানান যে, ধুরন্ধর-এর ট্রেলারে যেভাবে জওয়ানদের সামরিক কৌশল এবং বাস্তব প্রেক্ষাপট দেখানো হয়েছে, এতে দেশের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট মামলায় এদিন সেন্সর বোর্ডকে মোহিতের পরিবারের দাবি বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয় দিল্লি উচ্চ আদালত। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী আশিস দীক্ষিত সিবিএফসির পক্ষে সওয়াল করে জানান, সেন্সর বোর্ডের তরফে 'ধুরন্ধর'কে এখনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদালতের নির্দেশে ছবিটিকে সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হতে পারে। আদালতকে আশিস দীক্ষিত এও জানান যে, 'ধুরন্ধর' কোনও বায়োপিক নয়, বরং একটা কাল্পনিক গল্প। যুক্তির স্বপক্ষে কোর্টের কাছে পরিচালক আদিত্য ধরের সাম্প্রতিক একটি পোস্টও পেশ করেন আইনজীবী। যেখানে আদিত্য সাফ জানিয়েছেন যে এই সিনেমার সঙ্গে মেজর মোহিক শর্মার জীবনের কোনও সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে নির্মাতাদের আইনজীবী সৌরভ কিরপালও কোর্টকে জানান যে, "মেজর মোহিত শর্মার পরিবার শুধু ট্রেলার দেখে ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে সিনেমাটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানাতে পারেন না।" পালটা মোহিতের পরিবারের আইনজীবীর দাবি, "এটা কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে না। এটা যে মেজর মোহিত শর্মার জীবনের নানা অপারেশনের ঘটনা নিয়ে তৈরি সেকথা গণমাধ্যমেও বলা হয়েছে। তাছাড়া অনেক দৃশ্যের সঙ্গে মেজরের জীবনের মিলও রয়েছে। উপরন্তু নির্মাতারা পরিবারের কাছে অনুমতিও নেননি ছবি তৈরির আগে।" সব তরফের আইনজীবীর যুক্তি বিবেচনা করার পর শেষমেশ আদালতের তরফে সেন্সর বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া অবিলম্বে যেন 'ধুরন্ধর' ছবিটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হয় পর্যালোচনার জন্য। অতঃপর জওয়ানদের তরফে সবুজ সংকেত মিললেই কি সেন্সরের ছাড়পত্র পাবে 'ধুরন্ধুর'? সেটাই প্রশ্ন। এদিকে অগ্রীম বুকিংয়ে ঝড় তুলেছে রণবীর সিংয়ের ছবি। টিকিটের দাম উঠেছে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এমন আবহে নতুন রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট। সেই প্রেক্ষিতে ছবিমুক্তি পিছনোর আশঙ্কা অমূলক নয়!
