সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফারহান আখতারের '১২০ বাহাদুর' নিয়ে জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলেও। সম্প্রতি এই দেশাত্মবোধক সিনেমা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন অখিলেশ যাদব। এমনকী 'মাস্ট ওয়াচ' বলেও ঘোষণা করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো। পর্দায় 'জওয়ানদের জয়গানে' মুগ্ধ হয়ে '১২০ বাহাদুর'কে দিল্লিতে করমুক্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাও। এবার ফারহানের ছবি দেখে প্রশংসায় ভরালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা।
দিল্লির পর এবার রাজস্থানেও করমুক্ত ঘোষণা হল এই ছবিকে। যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশাত্মবোধক সিনেমা বলিউডে এর আগেও হয়েছে, তবে ফারহান আখতার অভিনীত '১২০ বাহাদুর' যে সেই তালিকায় নতুন মাইলস্টোন গড়বে, তেমন ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করেছিলেন সিনেবিশেষজ্ঞরা। বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া না ফেলতে পারলেও সিনেসমালোচকরা যেমন এই ছবির মার্কশিটে ফুলমার্কস বসিয়েছেন, তেমনই দর্শকমহলেও বহুল প্রশংসিত হয়েছে '১২০ বাহাদুর'। এবার আট দিনে ১৬ কোটির ব্যবসা করা দেশাত্মবোধক ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। ভজনলাল জানিয়েছেন, আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে রাজস্থান সরকারের তরফে '১২০ বাহাদুর'কে করমুক্ত করা হল।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত হয়ে পালটা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফারহান আখতারও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'মেজর শয়তান সিং ভাটির বীরত্বের প্রতি এহেন শ্রদ্ধাঞ্জলিতে আমরা রাজস্থান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।' প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালের রেজাং লা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি ‘১২০ বাহাদুর’। চিনের বিরুদ্ধে শত প্রতিকূলতার মাঝেও ১৩ কুমায়ুন রেজিমেন্টের চ্যালি কোম্পানির ১২০ জন জওয়ান কীভাবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে লড়েছিলেন সেই বীরত্বের গাথাই ফুটে উঠেছে রজনীশ ঘাই পরিচালিত এই ছবিতে। ষাটের দশকের সেই ভারত-চিন যুদ্ধে ১১৪ জন জওয়ার শহিদ হয়েছিলেন। দেশমাতৃকার সেই বীরসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতেই ‘১২০ বাহাদুর’ সিনেমাটি তৈরি করেছেন নির্মাতারা। আর সিনেপর্দায় এহেন দেশপ্রেমের কাহিনি দেখেই মুগ্ধ রাজনীতিক ব্যক্তিত্বরা।
