সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওসমান হাদির মৃ্ত্যুর পর থেকেই জ্বলছে বাংলাদেশ। এমন আবহে দীপু দাসের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কাঁপন ধরিয়েছে গোটা বিশ্বে। গণপিটুনি দিয়ে খুনের পর পোড়া মুণ্ডু ও ধড় নিয়ে 'মৌলবাদী পশু'দের উল্লাস দেখে স্তম্ভিত সভ্য সমাজ! এমনকী পুড়িয়ে মারা হয়েছে বিএনপি নেতার ৭ বছরের শিশুকন্যাকেও। এহেন একাধিক রোমহর্ষক ঘটনা মনুষ্য জাতির উপরই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সভ্য সমাজের একাংশ বলছেন, 'জল্লাদের হাতে মৃত্যুপুরী হয়েছে বাংলাদেশ।' ইউনুসের দেশের বর্তমান 'কাণ্ড-কারখানা'য় উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহলও। এবার পদ্মাপাড়ের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন ইধিকা পাল (Idhika Paul)।
এপার বাংলায় তিনি যেমন দেবের 'খাদান কিশোরী', তেমন বাংলাদেশে ইধিকা পরিচিত শাকিব খানের 'প্রিয়তমা' বলে। কারণ পদ্মাপাড় থেকেই বড়পর্দার নায়িকা হিসেবে ইনিংস শুরু করেছিলেন ইধিকা। সেই প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে অভিনেত্রীকে। তাই এপারে বসে মন কাঁদছে ইধিকার। 'প্রিয়তমা'র প্রার্থনা, খুব শিগগিরি সেরে উঠুক বাংলাদেশ। নতুন সিনেমার প্রচারে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবেশী দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী।
সেখানেই ইধিকা জানান, "একটা দেশ, যাকে আমি খুবই ভালোবাসতে দেখেছি। দেখেছি, শিল্প এবং শিল্পীকে সম্মান করতে। এমনকী আমিও সেদেশে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। আশেপাশের মানুষকে ভালোবাসায় পরস্পরকে বাঁধতে দেখেছি। আর সেই দেশে যখন সকলে খুব রেগে যাচ্ছে, ক্ষুব্ধ হয়ে যাচ্ছে, সেসব দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমি চাইব, খুব শিগগিরি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।" পদ্মাপাড়ের অনুরাগীদের উদ্দেশে ইধিকার আর্জি, "সকলে শান্ত হোন। ভালো থাকুন।"
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির। এই ঘটনার পরই ভয়ংকর হিংসা ছড়ায় গোটা বাংলাদেশে। এরই রোষ গিয়ে পড়ে দীপু নামে ওই সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকের উপর। ময়মনসিংহের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা দীপু গত দু’বছর ধরে ভালুকার একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কারখানায় হঠাৎ একদল বিক্ষোভকারী চড়াও হন। চলে ভাঙচুর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, টেনে হিঁচড়ে কারখানার বাইরে বের করে আনা হয় দীপুকে। তারপর গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে স্লোগান। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সভ্য সমাজ।
