সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু বাংলাদেশের নেতারাই নয়, 'মুখেন মারিতং জগৎ'-এ পিছিয়ে নেই পাকিস্তানের নেতা-মন্ত্রীরাও। শাহবাজ সরকারের মন্ত্রী এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতার হুঁশিয়ারি, "বাংলাদেশের দিকে তাকালে ভারতকে মিসাইল ছুঁড়ে জবাব দেবে পাকিস্তান।" পাকিস্তান-বাংলাদেশ সামরিক জোট গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন পাক নেতা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় কামরান সাঈদ উসমানি নামের ওই যুব নেতা বলেন, "ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে, যদি কেউ বাংলাদেশের দিকে কুনজর দেয়, তাহলে মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের জনগণ, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র খুব দূরে নয়।’ উসমানি আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি দিল্লির 'অখণ্ড ভারত ভাবনার' অংশ হয়ে থাকে, তবে পাকিস্তান চুপ করে বসে থাকবে না।
এমনকী ভারতের সঙ্গে লড়তে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সামরিক জোট গঠনের আহ্বান জানান উসমানি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক জোট গঠন করা উচিত। "বাংলাদেশে পাকিস্তানের আর পাকিস্তানে বাংলাদেশের সেনা ঘাঁটি স্থাপন করা উচিত।" সঙ্গে যোগ করেন, মুসলিম তরুণরা ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে সতর্ক। অভিযোগ করেন, এই "ষড়যন্ত্র" বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। "বাংলাদেশের জলসীমা দখল করেই হোক, রাষ্ট্রদ্রোহের আকারেই হোক, অথবা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের লড়িয়ে দেওয়াই হোক।"
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির। এই ঘটনার পরই ভয়ংকর হিংসা ছড়ায় গোটা বাংলাদেশে। এর রোষ গিয়ে পড়ে দীপু দাস নামের এক সংখ্যালঘু হিন্দু যুবকের উপরে। গণপিটুনি দেওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীপুর। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। গাছে বেঁধে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সঙ্গে চলে ভারত বিদ্বেষি স্লোগান। হামলা হয় প্রথম আলো, ডেসি স্টারের দপ্তরে। হামলা হয় ছায়ানটের সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপরে। চট্টগ্রামে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা করে জনতা। যার পরে সঙ্গে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে উভয় দেশের সরকার। সব মিলিয়ে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। এই আবহাওয়ায় উসকানি দিলেন পাক নেতা।
