সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরখা-ইন্দ্রনীলের ১৪ বছরের দাম্পত্যে বছর দুয়েক আগেই যতিচিহ্ন পড়েছে। অভিনেতা বর্তমানে ব্যস্ত ছবির শুটিং, প্রচার নিয়ে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবন, দাম্পত্য় যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুলে ফের চর্চার শিরোনামে বরখা বিস্ত। বরখাকে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, বিচ্ছেদর পর তিনি হয়তো মুভ অন করে গিয়েছেন। আদৌ কি তাই? নাকি ছাইচাপা আগুনের মতো এখনও তাঁর মনে রয়ে গিয়েছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত? উত্তরটা সম্প্রতি নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর মনে আজও প্রাক্তনের প্রতি ভালোবাসা রয়ে গিয়েছে। আর ইন্দ্রনীল? ব্যর্থ দাম্পত্য নিয়ে তাঁর কী মতামত?
অভিনেতা অবশ্য বরখার সঙ্গে বিয়েটাকে ব্যর্থ বলতে নারাজ। ইন্দ্রনীলের কথায়, এই বিচ্ছেদ তাঁর ব্যক্তিগতজীবনে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। অভিনেতা সম্প্রতি প্রাক্তন স্ত্রীয়ের অভিযোগ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন। সেখানেই জানান, কেউ যদি বলেন, "আমাদের বিয়েটা ব্যর্থ, আমি সেটা মানি না। হয়তো চিরস্থায়ী হয়নি, তবে ১৩ বছর সংসার করেছি আমরা। আর একটা সম্পর্ক 'চিরস্থায়ী' হবে, এমন ধ্যানধারণা কেন? আমাদের যেমন ভালো মুহূর্ত রয়েছে, তেমন খারাপ লাগার মুহূর্তও রয়েছে। আমদের ব্যক্তিসত্ত্বা একে-অপরের থেকে আলাদা। সেটা সম্পর্কের প্রথম দিন থেকেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে আমাদের বিয়েটা যে ব্যর্থ, সেটা মানতে রাজি নই আমি। অনেকে হয়তো আগেকার উদাহরণ দেবেন, তবে আমার মতে, সেসময়ে বিয়ে টিকে যেত নির্ভরতার কারণে।"
অন্যদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রাক্তন স্বামী ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। "ও আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করেছে" এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বরখা। তিনি আরও দাবি করেছেন, "বিচ্ছেদের ঘটনা আমার শরীর-মনের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। সেই প্রভাব আমি আজও কাটাতে পারেনি। সেই সময় মানুষের উপর থেকে আমার সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। এমনকী ভালোবাসা, বিয়ে এসব কিছুর ওপর থেকেও আমার বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। আমার মনে হয় একজন পুরুষের প্রতারণার ও বিশ্বাসঘাতকতাই একজন মহিলাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। আর আমি এর ভুক্তভোগী।" এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, "ইন্দ্রনীল নিজের কারণেই এই বিয়েটা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি আমার হাতে সবটা থাকত তবে আমরা হয়তো এখনও স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সুখে সংসার করতাম। আমাদের সুখের সংসার ছিল। কিন্তু শেষ চার বছর ধরে আমি অনবরত প্রতারিত হয়ে গিয়েছি। অনেককিছু বুঝতে পেরেছি। হয়তো সেগুলো না বুঝলেই ভালো হত। প্রতারণাটাকে হয়তো ইন্দ্রনীল বিচ্ছেদের সহজ উপায় ভেবেছিল। নিজের পছন্দ মতো কাজ করেছে।"
২০২১ সালে ইন্দ্রনীল ও বরখার ডিভোর্সের খবর শোনা যায়। গুঞ্জন, টলিপাড়ার আরেক নায়িকার সঙ্গে ইন্দ্রনীলের সম্পর্কের কারণেই নাকি এই বিচ্ছেদ! সেপ্রসঙ্গে বরখার মন্তব্য, "অনেক কিছুই শুনেছি। কিন্তু সত্য-মিথ্যের বিচার করতে চাইনি। সম্পর্কটা থাকছে না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেন ভাঙছে, সেটা নিয়ে আমি মাথাও ঘামাতে চাই না।"