সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সিনেমা রেজিস্ট্রেশনের হিড়িক পড়লেও বলিউডের তাবড় তারকাদের কোনও হেলদোল নেই। চুপ খান-কাপুর সাম্রাজ্যও! কেন ভারতের প্রত্যাঘাতে মৌনব্রত পালন করছেন তারকারা? এমন প্রশ্ন বিগত কয়েক দিনে ঘুরেফিরে চর্চার শিরোনামে বিরাজ করেছে। এবার প্রবীণ গীতিকার জাভেদ আখতারের মন্তব্য, "সকলের লক্ষ্য তো আর এক নয়! অনেকে অর্থ উপার্জন করতে, নাম-যশ চায়।"
পহেলগাঁওতে ভারতীয় নারীদের সিঁথির সিঁদুর মুছে ফেলার বদলা ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রত্যাঘাতের সেই কাহিনি যখন বলিউডের পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে মরিয়া প্রযোজক-পরিচালকরা, তখন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তারকাদের মুখে কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি! পহেলগাঁও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন ঠিকই, তবে তারপর থেকেই সিংহভাগ বলিউড তারকাদের মুখে কুলুপ। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নেটপাড়াতেও তুমুল হইচই হয়। এবার সেপ্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন ইন্ডাস্ট্রির 'গুরুজন' জাভেদ আখতার। তাঁর কথায়, "অনেকেই তো বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চায়। যেমন, আমারও যখন বয়স কম ছিল, তখন আমার কাজ করা অনেক সিনেমা পর পর হিট করছি, তখন তো রাজনীতিতে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। সম্ভবত আমি কোনও খবরের কাগজও পড়তাম না। অনেকে নিজের কাজ নিয়েও ব্যস্ত থাকে। সবাই তো একই লক্ষ্যের দিকে ছোটে না। অনেকে বেশি টাকা কামাতে চায়। নাম-যশ চায়। আমি তো চুপ থাকিনি। প্রতিবাদ করেছি। আমি যে কথাগুলো বলি, সেগুলো হয়তো অনেকেরই অপছন্দ। তবে আমি যেটা সত্যি বলে মনে করি, সেটাই বলি। এখন কে প্রতিবাদ করল কি করল না, সেই খোঁজ আমি কী করে রাখব?"
প্রবীণ গীতিকারের সংযোজন, "প্রথমত, আমার তো বলিউড নামটিতেই আপত্তি রয়েছে। এটা অন্যতম দেশবিরোধী শব্দ। কারণ হলিউডের সঙ্গে গোটা বিশ্বের কোনও সিনেদুনিয়া যদি প্রতিযোগিতা করতে পারে, তাহলে সেটা 'ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি'ই পারবে। এখন আমাদের দেশের সিনেমা ১৩৭টি দেশে মুক্তি পায়। আর লোকজন এটাকে 'বলিউড' কেন বলে?" এর আগে অপারেশন সিঁদুর আবহে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জাভেদ বলেছিলেন, "আমার মনে হয়, সম্পর্ক আর সম্মানের বিষয়টা সবসময়ে একতরফা থেকেছে। নুসরত ফতেহ আলি খান, গুলাম আলি, নূর জাহান ভারতে যখন এসেছিলেন, আমরা তাঁদের দারুণভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম। এরপর ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ এলেন। যিনি উপমহাদেশের একজন বড় কবি। আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা হলেও তিনি যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে ভারতে এসেছিলেন, তখন তাঁকে রীতিমতো রাষ্ট্রপ্রধানের মতো সম্মান দিয়েছিল সরকার। এর প্রতিদান কখনও দেওয়া হয়নি!"
