সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঞ্চন-শ্রীময়ী (Kanchan Mullick, Sreemoyee Chattoraj) দুজনেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তাঁদের বাড়িতে নিত্যদিন পুজোআচ্চা লেগেই থাকে। সম্প্রতি বীরভূমের পঞ্চপীঠে পুজো দিয়ে এসেছেন। তারপরই বাড়িতে পৌষ পূর্ণিমার পুজো হয়েছে। এবার জানা গেল, খুব শিগগিরিই দীক্ষা নিতে চলেছেন টলিপাড়ার তারকাদম্পতি। তার জন্য খুদে সদস্য কৃষভিকে সামলে দিব্যি পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শ্রীময়ী জানিয়েছেন, চলতি বছরেই বেলুড় মঠ থেকে দীক্ষা নেবেন তাঁরা। সেখানকার নিয়ামনুযায়ী দীক্ষা নেওয়ার আগে রামকৃষ্ণ দেব, মা সারদাকে নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। সেই পরীক্ষায় পাশ করলেই তবে দীক্ষা নেওয়ার ছাড়পত্র পান কেউ। কাঞ্চন-শ্রীময়ীও তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কাঞ্চন ঘরনির কথায়, বিয়ের আগেই পরিকল্পনা করেছিলেন যে একসঙ্গে দীক্ষা নেবেন। এবার সেই ইচ্ছেপূরণের পালা। কাঞ্চন যদিও সমস্ত বইপত্র পড়ে শেষ করে ফেলেছেন, মেয়েকে সামলে শ্রীময়ীর পক্ষে সেটা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। সেই পর্ব মিটলেই মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন তাঁরা। তবে দ্রুত দীক্ষা নিতে চাইছেন কেন? শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক জানালেন, আসলে শ্বশুরবাড়িতে প্রায় নিত্যদিনই পুজো হয়। আর ঠাকুরের ভোগ রাঁধতে হলে দীক্ষিত হওয়া আবশ্যিক। সেইজন্যই তড়িঘড়ি দীক্ষাপর্ব মেটাতে চাইছেন শ্রীময়ী। যাতে চলতি বছর কালীপুজোর ভোগ নিজে হাতেই রাঁধতে পারেন।
কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজো থেকে সমস্ত পুজোর আয়োজন একা হাতেই সামলান সুগৃহিণী শ্রীময়ী। একাধিকবার সেই ছবি সোশাল মিডিয়াতেও শেয়ার করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি তারাপীঠ-সহ বীরভূমের একাধিক মন্দিরে দম্পতি পুজোও দিয়েছেন। তাঁদের সন্তানও এসেছে বিশেষ দিনে। দোল পূর্ণিমায় শ্রীময়ী চট্টরাজ প্রথমবার বুঝতে পেরেছিলেন মা হতে চলেছেন। আর অন্নকূটের দিনই কাঞ্চন-শ্রীময়ী ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান। যেন অন্নপূর্ণা! তারকাদম্পতি কৃষ্ণভক্ত হওয়ায় সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছেন 'কৃষভি'। এবার নিয়ম মেনে দীক্ষার পথে স্বামী-স্ত্রী।