shono
Advertisement

Breaking News

Look Back 2024

ফিরে দেখা ২০২৪: যেসব সিনেমা-সিরিজ না দেখলেই হয়

'জিগরা'র জোর না থাকলে 'দো পাত্তি'র খেলাও ফিকে।
Published By: Suparna MajumderPosted: 01:10 PM Dec 23, 2024Updated: 04:44 PM Dec 25, 2024

বক্স অফিসের 'পুষ্পা' রাজ হোক বা ওয়েব দুনিয়ার 'পঞ্চায়েত', সিনেমা-সিরিজের আনাগোনা লেগেই থাকে। ২০২৪-এর ভান্ডারও পরিপূর্ণ। সাফল্যের ঝুলিতে যেমন মৌলিক বিষয়, তেমনই সিক্যুয়েলের রমরমা। কোনওটা না দেখলেই নয়, আবার কোনওটা না দেখলেই হয়। তা কেমন? আসুন ফিরে দেখা যাক। 

Advertisement

আলিয়া ভাট ও করণ জোহরের 'জিগরা' নিয়ে কত না আশা ছিল দর্শকদের। কিন্তু যা চকচক করে তা তো আর সময় সোনা হয় না। আলিয়ার মতো অভিনেত্রী থাকা সত্ত্বেও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ল ভাসান বালা পরিচালিত ছবি। তার উপরে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দিব্যা খোসলা কুমারের বাক্যবাণ। 'ফেক কালেকশন' দেখিয়ে নাকি বাজিমাত করতে চেয়েছিলেন আলিয়া-করণরা। সব বিফলে গেল বলেই অভিযোগ টি-সিরিজের মালকিনের। ৯০ কোটি বাজেটের সিনেমার আয় মাত্র ৫৫ কোটি।

'বড় আশা করে এসেছি গো কাছে রেখে দাও...', অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফের ভাবখানা এমনই ছিল। কিন্তু অ্যাকশনের সেফগার্ডেও দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে পারলেন না অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ। সাড়ে তিনশো কোটি বাজেটের ছবি কোনওভাবে একশো কোটি আয় করতে পেরেছে। এদিকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে পরিচালক আলি আব্বাস জাফরের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রযোজক বাসু ভাগনানি। বিশ্বাসভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগও এনেছেন তিনি।

'অউরো মে কাহা দম থা' তা জেনে কী লাভ, যদি নিজেদের সিনেমার গল্পেই জোর না থাকে। এতদিন পর রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে অজয় দেবগন ও তাব্বুকে পাওয়া গিয়েছিল। লাভ হল কই? নীরজ পাণ্ডে পরিচালিত ছবির বাজেট যেখানে ১০০ কোটি, ছবির আয় মাত্র ১২.৯১ কোটি টাকা।

'শেরশাহ' হয়ে বক্স অফিসে কামাল দেখিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। কিন্তু এক কাসুন্দি আর কতবার ঘাঁটা যায়? 'যোদ্ধা' সিদ্ধার্থকে আর জনতা জনার্দন মেনে নিলেন না। করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের এই ছবি তৈরির জন্য খর হয়েছিল ৫৫ কোটি টাকা। আয় মাত্র ৫২ কোটি।

নারীকেন্দ্রিক সিনেমা বা সিরিজের সংখ্যা এমনিতেও বলিউডে খুবই কম। তবুও দুএকটা যা হয়েছে, সেসবের গল্পে মূলত, পুরুষতন্ত্রকে সমালোচনা করে নারীর জয়গান থাকে। এই চক্রব্যূহ থেকে কাজল-কৃতীর 'দো পাত্তি'ও বেরোতে পারল না। দুর্বল চিত্রনাট্যের ফাঁসেই আটকে গেল প্রযোজক কৃতী স্যাননের প্রথম ছবি। ভাগ্যিস সিনেমা নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।

খেলা হবে? হ্যাঁ, হবে। এই বলেই ‘খেল খেল মে’ শুরু করেছিলেন অক্ষয় কুমার, তাপসী পান্নু, বাণী কাপুর, ফরদিন খান, এম্মি ভির্ক, আদিত্য শীল, প্রজ্ঞা জয়সওয়াল। তারপর খামখেয়ালি মেজাজের কোলাজ। এক খেলার টেবিলে প্রচুর উপাদান সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন পরিচালক মুদাসসার আজিজ। তবে কমেডি ও ড্রামার মধ্যে আরও একটু ভারসাম্য প্রয়োজন ছিল। তবেই সত্য-মিথ্যার দ্যূতক্রীড়ার মজা পাওয়া যেত। রটনা, ১০০ কোটি টাকায় তৈরি ছবি মাত্র ৫৬ কোটি রোজগার করতে পেরেছে।

'ভিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও' --- সিনেমার নামেই দুষ্টুমির প্রশ্রয়। কিন্তু তা আর হল কই? রাজকুমার রাওয়ের মতো অভিনেতাও সিনেমাকে বাঁচাতে পারলেন না। তৃপ্তি দিমরি বড়ই সাদামাটা। এক সিডির নিয়ে যত কাণ্ড। তার আবার সিক্যুয়েলের আভাসও রয়েছে ক্লাইম্যাক্সে। নতুন ছবি হলে গল্প জোরদার হোক, এই প্রার্থনা।

কিছু ছবির বড় সমস্যা, সদিচ্ছা ও ফলাফলের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। তেমনই ‘রবিন্স কিচেন’। কখনও ফুড মুভি, কখনও প্রেমের ছবি, কখনও বা নেহাত থ্রিলারের আবর্তে ঘুরতে থাকল চিত্রনাট্য। বনি সেনগুপ্ত ও প্রিয়াঙ্কা সরকারের ছবির মেরুদণ্ড। তবে আইএমডিবিতে ছবির রেটিং ২.৯।

‘বড়লোকের বেটি লো…’ টাকার কমতি নেই, ইচ্ছের ঘাটতি নেই। মন খারাপ হলে বিদেশে ছুট্টে গিয়ে ছুটি কাটানো। কিংবা দামি দামি শপিং। এদিকে সংসারে তাঁকে ভালোবাসার লোক কম। ফলাফল, বড্ড একাকী! তাহলে সে বেঁচে রয়েছে কীসের জন্য? তাঁর জীবনের উদ্দেশ্যই বা কী? ‘কল মি বে’র এমন গল্পে 'কভি খুশি কভি গম'-এর পু হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। নায়িকার চেষ্টা প্রশংসাযোগ্য, কিন্তু সিরিজ একেবারেই ফাঁপা!

দুর্বল চিত্রনাট্যেই নষ্ট রোহিত শেট্টির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্স।’ পুলিশ পুলিশ খেলা ভালো, কিন্তু তা খেলো হয়ে গেলেই মুশকিল। ‘সিংহম’, ‘সিম্বা’, ‘সূর্যবংশী’র মতো সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করেছেন পরিচালক রোহিত শেট্টি। কিন্তু ওয়েব দুনিয়ায় পরিচালকের পুলিশি ব্রহ্মাণ্ড বিশেষ জমল না। অতিনাটকীয়তার চক্রব্যূহেই বিফলে গেল সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, শিল্পী শেট্টি, বিবেক ওবেরয়দের পরিশ্রম।

মার্কিন সিরিজ ‘রিভেঞ্জ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিচালক রুচি নারেন তৈরি করেছেন ‘কার্মা কলিং’। মূলত বদলার গল্প। ঘরানায় ফেলতে হলে এই সিরিজকে থ্রিুলারই বলতে হয়। সমস্যা সেখানেই। চিত্রনাট্য এতটাই দুর্বল, শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই গোটা গল্প আঁচ করে ফেলা যায়। তবে এই সিরিজে যদি কেউ মন দিয়ে কাজ করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন রবিনা ট্যান্ডন। বিত্তশালী, ক্ষমতাশালী মহিলার চরিত্রে রবিনা একেবারেই সঠিক বাছাই।

চেনা ছক, চেনা প্লট। বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালোবাসা। না পাওয়ার আত্মযন্ত্রণা। প্রতিশোধস্পৃহ আত্মার ভিড় আগে কম দেখেননি দর্শকরা! অরিন্দম চক্রবর্তী পরিচালিত ‘আমি নন্দিনী’ সিরিজও সেই চেনা ছকের গল্প। একাধিক প্লট কিংবা উপকরণ থাকলেও চিত্রনাট্যের বাঁধন ঠিক যতটা আলগা, ততটাই মেকিং! ভুতুড়ে সিরিজে গা ছমছমে বিষয়টাই অনুপস্থিত। স্মার্ট দর্শকদের বর্তমানে ভয় দেখানো সহজ নয়।

'প্রেমে পড়া বারণ' বললেই কি আর মানা যায়। আবার ভালোবাসার 'অত্যাচার'-এর গল্পও ক্যামেরার সামনে ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। রণ-মিতুলের গল্পে সেই চেষ্টা করেছিলেন অরিজিৎ চক্রবর্তী। তবে দর্শকদের মনের কাছে সেভাবে পৌঁছতে পারলেন না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বক্স অফিসের 'পুষ্পা' রাজ হোক বা ওয়েব দুনিয়ার 'পঞ্চায়েত', সিনেমা-সিরিজের আনাগোনা লেগেই থাকে।
  • চব্বিশের ভান্ডারও পরিপূর্ণ। সাফল্যের ঝুলিতে যেমন মৌলিক বিষয়, তেমনই সিক্যুয়েলের রমরমা।
  • কোনওটা না দেখলেই নয়, আবার কোনওটা না দেখলেই হয়।
Advertisement