সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ময়দান' ছবির মুক্তির আগেই বিপাকে পড়লেন ছবির নির্মাতা। মাইসুরু আদালতে ছবির মুক্তি আটাকানোর দাবি নিয়ে মামলা ঠুকলেন দক্ষিণী চিত্রনাট্যকার অনিল কুমার। আর এবার এই মামলার বিরুদ্ধে আর্জি নিয়ে কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ময়দান ছবির নির্মাতা। ছবির প্রযোজক সংস্থা আদালতে জানিয়েছে,'' ছবি মুক্তির পরেই আদালতের নোটিশ হাতে এসেছে। এই বিষয়ে আমাদেরও কিছু বক্তব্য রয়েছে, তা আমরা তুলে ধরতে চাই আদালতের কাছে।''
অনিল কুমার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তাঁর লেখা চিত্রনাট্য়ই চুরি করে তৈরি হয়েছে অজয়ের ‘ময়দান’।
এক সংবাদমাধ্যমকে অনিল জানান, ”২০১৮ সালে আমি একটা চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। সেই অনুযায়ী, একটা পোস্টার তৈরি করে লিঙ্কডিনে শেয়ার করেছিলাম। সেটি দেখে আমাকে বিজ্ঞাপনের পরিচালক এবং ময়দান ছবির সহপরিচালক সুখদাস সূর্যবংশী মুম্বইয়ে ডেকে পাঠান। সুখদাসকেই আমি পুরো চিত্রনাট্য শুনিয়ে ছিলাম। উনি বলেছিলেন আমির খানের প্রোডাকশনেই তৈরি হবে ছবিটি। এমনকী, Screen writers Association-এ আমার এই চিত্রনাট্য রেজিস্ট্রার করা হয়।”
[আরও পড়ুন: প্রচারের ফাঁকে ভোটারের রান্নাঘরে হিরণ, খুন্তি নেড়ে রাঁধলেন নানা পদ, সারলেন ভোজও]
অনিল আরও জানান, ”হঠাৎ করেই দেখতে পাই, অজয়ের ময়দান ছবির গল্পের সঙ্গে আমার লেখা চিত্রনাট্যের মিল রয়েছে। আমিও ১৯৫০ সালের একই গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছিলাম। পরে জানতে পারি ময়দানে গল্পটা একটু বদল ঘটেছে। কিন্তু চিত্রনাট্য একই রকম। এমনকী, আমার ছবির নাম রাখা হয়েছিল পদনদুকা।”
জানা গিয়েছে, এই অভিযোগ নিয়ে মাইসুরু আদালতে মামলাও করেছেন চিত্রনাট্যকার অনিল। অনিলের অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই ছবি মুক্তির স্থগিতের নির্দেশ দিল মাইসুরু আদালত।
এই ছবিতে অজয় দেবগন অভিনয় করছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ সায়েদ আব্দুল রহিম ওরফে রহিম সাহেবের চরিত্রে। স্বাধীনতার ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে দ্বিতীয় বারের জন্য অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পায় ভারতীয় ফুটবল দল। সেই বছর সামার অলিম্পিক হয় ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে। ভারতের বিরুদ্ধে ময়দানে নাম হাঙ্গেরি। ম্যাচের দিন তুমুল বৃষ্টি। ভিজে যায় পুরো ময়দান। কাদা মাঠে হাঙ্গেরির ফুটবলারদের পায়ে স্পাইক জুতো। আর উলটো দিকে খালি পায়ে মাঠে ভারতীয় ফুটবলাররা। কী হবে সেই খেলার? এই সত্যি গল্পই ফুটে উঠেছে বড়পর্দায়।