সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৃজিত মুখোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর 'কিলবিল সোসাইটি'র গল্পের সঙ্গে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনকাহিনির যোগ রয়েছে। মাত্র বাইশ বছর বয়সে নিজেকে খুন করানোর জন্য ভাড়াটে খুনিকে টাকা দিয়েছিলেন হলিউড অভিনেত্রী। হলিউডের সেই 'হিটম্যান সাগা' এবার সৃজিতের 'কিলবিল সোসাইটি'তে। মঙ্গলবার ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রের মধ্যে অ্যাঞ্জেলিনার ছায়া দেখা গেল।
পূর্ণা আইচের ভূমিকায় কৌশানী। প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও পর্নসাইটে ভাইরাল। পারিবারিক অশান্তি তুঙ্গে। সমাজে মুখ দেখানো দায়! এদিকে নির্বিকার প্রেমিক। শেষমেশ নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পূর্ণা। তবে আত্মহত্যা মহাপাপ ধর্মে সইবে না! তাই 'কিলবিল সোসাইটি'র দ্বারস্থ হয় সে। নিজেই নিজের নামে 'সুপারি' দেয়। ঘটনাচক্রে আলাপ হয় ভাড়াটে খুনি মৃত্যুঞ্জয় করের সঙ্গে। যে চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পরিচয় পরিণত হয় প্রেমে। এবার ভাগ্যের চিত্রনাট্যে তাহলে 'শেষের কবিতা' লিখবে কে? প্রেম না মৃত্যু? উত্তর পেতে আগামী ১১ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে যেতে হবে। কারণ সেদিনই মুক্তি পাচ্ছে সৃজিতের 'কিলবিল সোসাইটি'। ট্রেলারের শেষপাতে 'হেমলক সোসাইটি'র আইকনিক দৃশ্যের উলাট পুরাণ ঘটিয়েছেন পূর্ণা এবং মৃত্যুঞ্জয়। ট্যুইস্ট সেখানেই।
‘হেমলক সোসাইটি’র ১৩ বছর বাদে কেমন আছেন আনন্দ কর এবং তাঁর আশেপাশের মানুষেরা? সেই গল্প নিয়েই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) ‘কিলবিল সোসাইটি’ আসছে। কাস্টিংয়ে নামজাদা তারকাদের ভিড় আর তাঁদের ফার্স্টলুক আগেই কৌতূহলের পারদ চড়িয়েছিল। এবার রোমাঞ্চকর ট্রেলার, অনুপম রায়ের গান আর রগরগে সংলাপ তার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল, বললেও অত্যুক্তি হয় না।
সৃজিতের ‘কিলবিল সোসাইটি’র জন্য লুক বদলে ফেলেছেন পরমব্রত (Parambrata Chatterjee)। প্রস্থেটিকে তিনি বিশ্বাসী নন। তাই চরিত্রের প্রয়োজনে মাথা কামিয়ে আনন্দ করকে নতুন লুক দিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর চরিত্রেও এবার বিশেষ চমক! যে আনন্দর হাত ধরে জীবনমুখী হতে শিখেছিল অবসাদের কুয়াশায় জেরবার মানুষেরা, সেই আনন্দ কালের নিয়মে বদলে গিয়েছেন। এখন আর তিনি ‘হেমলক সোসাইটি’ পরিচালনা করেন না। পরিবর্তে ‘কিলবিল সোসাইটি’র দায়িত্ব নিয়ে সে এখন মৃত্যুঞ্জয় কর। অন্যদিকে, পূর্ণা আইচের ভূমিকায় একেবারে ডিগ্ল্যাম লুকে ধরা দিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee)। বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত সে। সমাজের মতামতের ধার ধারে না সে। নিন্দুক-সমালোচক, কাউকেই পরোয়া করে না পূর্ণা। যখন যা মন চেয়েছে, করেছে। সমাজের কাছে পূর্ণা দুঃসাহসী। লাগামছাড়া এক মেয়ে। কিন্তু পূর্ণার কাছে এটাই জীবন। কিন্তু জীবনের এক পর্যায়ে এসে ওলট পালট হয়ে যায় পূর্ণার জীবন। সেই নির্ভীক পূর্ণা হয়ে ওঠে ভিতু। কোন পরিস্থিতিতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তার? ট্রেলারে সেই ঝলক ইতিমদ্যেই দেখানো হয়েছে। তবে সে কি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে? সেই উত্তর মিলবে আগামী ১১ এপ্রিল।