সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিনের রোগভোগ। যমে-মানুষে লড়াই করে বাড়িও ফিরেছিলেন। বাড়িতে ৯০ তম জন্মবার্ষিকীর পরিকল্পনাও শুরু হয়েছিল জোরকদমে। তবে সব আশা নিমেষেই ছাই। অনুরাগী, পরিবারের লোকজনকে কাঁদিয়ে ইহলোক ছেড়ে অমৃতলোকে পাড়ি দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তবে এবারের জন্মদিনে বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ভাবনা সানি দেওল এবং ববি দেওলের।
আগামী ৮ ডিসেম্বর ধর্মেন্দ্রর জন্মদিন। সূত্রের খবর, ওইদিন খাণ্ডালার ফার্মহাউসে বিশেষ আয়োজন করা হচ্ছে। ওইদিন সম্ভবত ফার্মহাউসের দরজা সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। চাইলে অনুরাগীরা ফার্মহাউসে ঢুকতে পারেন। শ্রদ্ধা জানাতে পারেন তাঁদের প্রিয় 'বীরু'কে। শোকস্তব্ধ পরিবারকে জানাতে পারেন সমবেদনা। মনে করা হচ্ছে, বহু অনুরাগীই ওইদিন ভিড় জমাতে পারেন ধর্মেন্দ্রর ফার্মহাউসে। হয়তো ভিড় সামাল দেওয়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। সে কথা মাথায় রেখেই নাকি ভিড় সামাল দেওয়ার ব্লুপ্রিন্টও নাকি তৈরি। সেই অনুযায়ী ফার্মহাউসকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়েও ফেলা হচ্ছে ধীরে ধীরে। যে অনুরাগীরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করবেন, তাঁদের জন্য যানবাহন রাখার বিশেষ বন্দোবস্তও নাকি করা হবে।
বলে রাখা ভালো, ধর্মেন্দ্রর পরিবারের কাছে গত ২৪ নভেম্বর যেন একটা অন্ধকারময় দিন। ওইদিনই 'বীরু'র জীবনযুদ্ধ শেষ। তবে সে খবর গোপনই ছিল। পরদিন দুপুরে আচমকাই মুম্বইয়ের শ্মশানে পৌঁছে যান পরিবারের প্রায় সকলে। সেই সময় অবশ্য কেউই জানতেন না প্রিয় 'বীরু' সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছেন। গত ২৭ নভেম্বর পরিবারের সদস্যরা মুম্বইতে শোকসভার আয়োজন করে। শাহরুখ খান, সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন-সহ বি-টাউনের অনেকেই শোকসভায় অংশ নেন। আবার ওই একই দিনে হেমা মালিনী আলাদা করে একটি শোকসভার আয়োজন করেছিলেন। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের দিন দশেক বাদে বুধবার হরিদ্বারে অস্থি বিসর্জন করা হয় পরিবারের তরফে। বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ হরিদ্বারের শ্রাবণ নাথ নগরের পিলভিট হাউস ঘাটে পৌঁছন দেওলরা।
সেখানে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে হিন্দুমতে বলিউডের ‘হি ম্যানে’র শ্রাদ্ধশান্তির পুজোপাঠ করা হয়। এরপর পুরোহিতের নির্দেশে হর কি পৌরি ঘাটে ধর্মেন্দ্রর অস্থি বিসর্জন করলেন নাতি করণ দেওল।জানা গিয়েছে, শেষকৃত্যের মতো এক্ষেত্রেও গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন সানি-ববিরা। তাই অস্থি বিসর্জনের দিন ঘাটে উপস্থিত প্রত্যেককে কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল যাতে অন্দরের খবর বাইরে না যায়। কিন্তু উৎসুক জনতা কি আর অত সহজেই বাঁধা মানে? অতঃপর ঘাটে দেওলদের ভিড় দেখে স্থানীয় ছবিশিকারিদের একাংশ ভিড় জমান অস্থি বিসর্জনের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার জন্য। আর তা দেখেই মেজাজ হারান সানি দেওল। ক্যামেরা দেখেই চেঁচিয়ে ওঠেন অভিনেতা। উপস্থিত ছবিশিকারিদের উদ্দেশে অগ্নিশর্মা সানিকে বলতে শোনা যায়, “তোমরা কি নিজেদের লজ্জাশরম সব বেচে খেয়েছ? টাকা তাই তোমাদের? কত টাকা চাই, বলো?…” সেই মুহূর্তের ভিডিও নিয়েই আপাতত নেটভুবনে বিস্তর চর্চা। এবার জন্মদিনের বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা।
