সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রীর 'ফাইলস' ট্রিলজির তৃতীয় রাজনৈতিক থ্রিলার 'দ্য দিল্লি ফাইলস'। খবর আগেই ছিল যে 'তাসখন্দ ফাইলস', 'কাশ্মীর ফাইলস' ছবির পর দিল্লির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছবি বানাতে চলেছেন পরিচালক। গতবছর অক্টোবর মাসে ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে এনে বিবেক হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, কারণ এই ছবির নাম 'দ্য দিল্লি ফাইলস' হলেও সাবলাইনে উল্লিখিত ছিল 'দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টারে'র কথা। পরে অবশ্য দর্শকদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিবেক ছবির নাম বদলে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' করে ফেলেন। জুন মাসে ছবির ঝলকে যে রোমহর্ষক কোলাজ দেখিয়েছিলেন, তাতে প্রশ্ন উঠেছিল, বিবেক কি কোনও অভিসন্ধি নিয়েই বাংলার ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে নিজের সিনেমার নাম বদলে 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' রাখলেন? এবার নতুন খবর, কলকাতার বুকেই 'বাংলা বিরোধী' সিনেমার প্রচারে আসছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী।
কলকাতায় 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর প্রচারের জন্য একগুচ্ছ কর্মসূচী রেখেছেন পরিচালক। জানা গেল, সিনেমার ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানের আগে কালীঘাটে মায়ের মন্দিরে পুজো দেবেন। তার পর শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাবেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে বাঙালি অস্মিতায় শান দেওয়ার আবহে বিবেকের এহেন প্রচারসূচীকে 'স্ট্র্যাটেজি' হিসেবেই দেখছে সিনেমহলের একাংশ। জানা যায়, বিবেক অগ্নিহোত্রীর এই নতুন সিনেমার প্রেক্ষাপট ১৯৪০ সাল। অবিভক্ত বাংলার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা কীবাবে দিল্লির রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছিল, সেই ঘটনাই পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চলেছেন পরিচালক। পোস্টারেও সেই সময়কালের বেশকিছু প্রতিবেদনের কাটআউট রয়েছে। সেইসঙ্গে মুক্তির দিনক্ষণও ঘোষণা করলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে রিলিজ করছে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস: রাইট টু লাইফ’। তার প্রাক্কালেই কলকাতায় ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে বাঙালি আবেগে শান দেওয়ার প্রচেষ্টা পরিচালকের।
একুশে শত চেষ্টা করেও বাংলায় পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির! অতঃপর পাখির চোখ যে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের দিকে, তা বলাই বাহুল্য। তার প্রাক্কালেই পঁচিশের জুন মাসে ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলারে বাংলায় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা দেখিয়েছেন বিবেক। ট্রেলারের শুরুতেই নেপথ্য কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, “আমি একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত, তাই হলফ করে বলতে পারি যে বাংলা আরেকটা কাশ্মীর হতে চলেছে…।” এক দৃশ্যে জ্বলন্ত দুর্গা মূর্তিকেও দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, ট্রেলারে এও প্রশ্ন ছোড়া হয় যে, স্বাধীনতার ৮০ বছর পরও কেন ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির জেরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটছে? আর এসবেই অন্য ‘স্ট্র্যাটেজি’ দেখছে দর্শক, অনুরাগীরা। একাংশের প্রশ্ন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কি সিনেমার নাম বদলে ফেলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী? যদিও সেন্সর বোর্ডের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আপত্তির কথা শোনা যায়নি, তবে ভবিষ্যতে ‘কাঁচি’ চলবে কিনা, সেই আশঙ্কাও অমূলক নয়! উল্লেখ্য, এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী যোশী-সহ বিশিষ্ট অভিনেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।
