সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নাজেহাল দশা দুই দলের। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মেলায় নির্দলদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানে সরকার গড়তে চান নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদ পেতে মরিয়া দুই দলই।
২৬৫ আসনের পাকিস্তান (Pakistan) ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। কিন্তু সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি কোনও দলই। তবে শেষ পর্যন্ত জোট সরকার গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ও আসিফের পিপিপি। ইতিমধ্যেই নির্দল হিসাবে জয়ী ৫ প্রার্থীর সমর্থন পেয়ে গিয়েছে নওয়াজের দল। ফলে সরকার গঠনের জন্য এই জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় শহরে অভিযান ইডির, সল্টলেক-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি]
কিন্তু সরকার গঠনের আলোচনার মধ্যেই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ছে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দল। দুই পক্ষই যুক্তি দেখিয়ে দাবি তুলেছে, তাদের দলের নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো উচিত। পিএমএলএনের মতে, নওয়াজ বা শাহবাজ- দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একজনকেই ফের কুর্সিতে বসানো উচিত। অন্যদিকে পিপিপির মতে, বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করা উচিত কারণ ধুঁকতে থাকা দেশের প্রয়োজন তরতাজা নেতৃত্ব। তাছাড়া পাকিস্তানের ৬০ শতাংশ জনতার বয়স তিরিশ বছরের নীচে। তাঁদের জন্য ৩৫ বছর বয়সি বিলাওয়াল একেবারে আদর্শ প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ফল প্রকাশের পর তিনদিনে দুবার বৈঠক করেছেন দুই দলের নেতৃত্ব। বৈঠকের পরে ভুট্টোর দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নেতাদের মধ্যে। আগামী দিনে কীভাবে দুই দল একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই নিয়েও কথা হয়েছে বিশদে। দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি দুই দলের নেতৃত্বই।” পাকিস্তানকে বাঁচাতে হবে, এটাই জোট সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য বলে দাবি দুই দলের।