সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোকেন কাণ্ডে ধৃত রাকেশ সিং (Rakesh Singh) আলিপুর আদালত চত্বরে পৌঁছতেই লেগে গেল ধুন্ধুমার। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ করার অভিযোগ তুলেছেন ধৃত বিজেপি নেতা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেননি আলিপুর আদালত। বদলে ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অন্যদিকে, তাঁর দুই ছেলেকে অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছে আদালত। তবে তাঁদের তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে প্রতিদিন হাজিরা দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারির পরই লালবাজারে নিয়ে আসা হয় কোকেন কাণ্ডে অভিযুক্ত রাকেশ সিংকে। আজ দুপুরে রাকেশকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও ধৃত নেতা। পড়ে যান রাকেশ। এরপর কার্যত তাঁকে টেনেহিঁচড়ে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপি নেতার অভিযোগ, পুলিশ দাদাগিরি করছে। কোনও কারণ ও প্রমাণ ছাড়া তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অত্যাচার করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মোদির ব্রিগেডে ১০ লক্ষ জমায়েতের টার্গেট বিজেপির, বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে আমন্ত্রণপত্র]
জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে বিজেপি নেতার আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার পুলিশ রাকেশকে বেধড়ক মারধর করেছে। পাশাপাশি দাবি করেছেন, যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন সেই কারণেই রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তাঁর কোনও যোগ নেই। এদিকে ধৃতের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুরে আচমকাই কোকেন কাণ্ডে অভিযুক্ত রাকেশ সিংয়ের অরফানগঞ্জ এলাকার বাড়িতে হাজির হয় কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। বাধার মুখে পড়ে পুলিশ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাকেশ-পুত্রদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় পুলিশ। অবশেষে সন্ধেয় বিজেপি নেতার বাড়িতে ঢুকতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। রাতেই গলসি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রাকেশকে। খবর পেয়েই বর্ধমান রওনা দেয় কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। রাতেই রাকেশ ও তার ছায়াসঙ্গীকে নিয়ে লালবাজার (Lalbazar) ফেরেন তাঁরা।