পাকিস্তান: ৩৪৭/৮ (সমীর ১৭২, আহমেদ ৫৬, দীপেশ ৮৩/৩, খিলান ৪৪/২)
ভারত: ১৫৬ (দীপেশ ৩৬, বৈভব ২৬, আলি রাজা ৪২/৪, হুজাইফা আহসান ১২/২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ট্রফির খোঁজে নেমেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দল। কিছুদিন আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল জিতেশ শর্মার ভারতের। আর রবিবারও স্বপ্নভঙ্গ হল আয়ুষ মাত্রের ভারতের। সমীর মিনহাসের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তান তোলে ৩৪৭ রান। জবাবে অল্প রানে অলআউট হয়ে একরাশ লজ্জা উপহার দিল বৈভব-অভিজ্ঞানরা।
অনূর্ধ্ব-১৯ (Under-19 Asia Cup) পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় ইতিমধ্যেই একবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিতেছে দল। তবে রবিবার আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে দেখা গেল অন্য চিত্র। প্রতিবেশীদের ফের টেক্কা দেওয়ার সুযোগ হারাল ভারত। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, বিহান মালহোত্রা, অ্যারন জর্জ, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো ব্যাটাররা থাকলেও যুব ভারতীয় দলকে জয়ের সরণিতে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হল তারা।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে পাক দল তোলে ৮ উইকেটে ৩৪৭ রান। এর সৌজন্যে তাদের ওপেনার সমীর মিনহাস। জোড়া বিশ্বরেকর্ড করেছেন তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে সর্বাধিক রানের নজির গড়লেন সমীর। ১৩ বছরের পুরনো নজির ভেঙে তিনি করেন ১১৩ বলে ১৭২ রান। ২০১২ সালে ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৩৪ রান করেছিলেন পাকিস্তানের সামি আসলাম। এখানেই শেষ নয়। ৪৭১ রান করে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বাধিক রান করেছেন তিনি। এর আগে এই নজির ছিল সামির দখলে। ২০১২ সালের ৪৬১ রান করেছিলেন।
মুলতানের সমীরের ইনিংসে ছিল ১৭টি চার এবং ৯টি ছক্কা। একটা সময় মনে হয়েছিল ডবল সেঞ্চুরি হাঁকাবেন। শেষ পর্যন্ত দ্বিশতরান থেকে ২৮ রান দূরে দীপেশ দেবেন্দ্রনকে ছয় হাঁকাতে গিয়ে কণিষ্ক চৌহানের হাতে ধরা পড়েন। তিনি যখন আউট হন, পাকিস্তানের রান ৩০২। শেষ দিকে ভারতীয় বোলারদের প্রত্যাবর্তনে পাকিস্তানের রান ৩৪৭-এর বেশি হল না। সমীর ছাড়া আহমেদ হুসেন করেন ৫৬ রান। ভারতের হয়ে দীপেশ ৩ উইকেট পেলেও দিয়েছেন ৮৩ রান। হেনিল প্যাটেল এবং খিলান প্যাটেলের শিকার ২টি করে উইকেট। কণিষ্ক চৌহান পান ১ উইকেট।
৩৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন বৈভব সূর্যবংশী। প্রথম চার বলেই ওঠে ১৯ রান। তবে শুরুর ঝটকা সামলে দ্রুত ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। মহম্মদ সায়ামের বলে সাজঘরে ফেরেন আয়ুষ। ২৪ রানের মাথায় জীবন পেয়েও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারলেন না বৈভবও। ২৬ রানেই শেষ হয় তাঁর লড়াই। এরপর একে একে সাজঘরের পথে পা বাড়ান অ্যারন গর্গ (১৬), বিহান মালহোত্রা (৭), বেদান্ত ত্রিবেদী (৯), অভিজ্ঞান কুণ্ডু (১৩), কণিষ্ক চৌহান (৯), খিলান প্যাটেল (১৯)। শেষের দিকে দীপেশ দেবেন্দ্রনের ১৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংসের সুবাদে কোনও ক্রমে দেড়শো পেরয় ভারত। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল পাকিস্তান। আলি রাজা নেন ৪২ রানে ৪ উইকেট। মহম্মদ সায়াম, আবদুল সুবহান এবং হুজাইফা আহসান ভাগ করে নেন ২টি করে উইকেট।
