ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: পরিবর্তন যাত্রাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূম (Birbhum)। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের পাঁচজন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন রাতে বিজেপির (BJP) পরিবর্তন যাত্রার রথ এসে পৌঁছয় ইলামবাজারে। সেখানে সভা করেন বিজপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। আহত বিজেপি কর্মী শেখ কাজিম জানান, সভা শেষে ইলামবাজারের নানাসোল পঞ্চায়েতের খাদিমপুকুর গ্রামে ফিরছিলেন বেশ কিছু বিজেপি সর্মথক। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল কেউ যেন বিজেপির সভায় না যায়। তা নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছিল। রাতে বিজেপি সর্মথকেরা ফিরে বড় মসজিদ সংলগ্ন তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের লাঠি, বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন শেখ কাজিম। এরপর তৃণমূল সর্মথকেরা বিজেপি সর্মথক শেখ মুজিবুর এবং শেখ দিকাইয়ের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘কে আসলে ব্ল্যাকমেল করছে, মতুয়ারাই বলবেন’, দলের বিধায়ককে পালটা বিজেপি সাংসদ শান্তনুর]
এদিকে আহত তৃণমূল কর্মী শেখ জালালুদ্দিনের অভিযোগ, পরিবর্তন যাত্রার রথ নিয়ে বিজেপি সর্মথকেরা গ্রামে ফিরে তৃণমূল কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে বসে থাকে কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে। প্রতিবাদ করতেই তাঁদের মারধর করা হয়। গুরুতর জখম হন শেখ কুরো, শেখ সেলিম, মহম্মদ আজিজ এবং শেখ সুকুর। এবিষয়ে তৃণমূলের ইলামবাজারের ব্লক সভাপতি শেখ তরু বলেন, পরিকল্পনা করে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কথায়, “বিজেপি কর্মীরা দলের সভায় গেলে ভয় দেখানো হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে। ইলামবাজারেও তাই হয়েছে।” উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার বোলপুর থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা। যাবে কীর্ণাহার। নেতৃত্বে রয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।