অরূপ বসাক, মালবাজার: বিয়ের বাড়ির মাঝেই দুটি পরিবারের অশান্তি। তা গড়াল হাতাহাতিতে। লাঠি-বাঁশ-দা-রড নিয়ে একদল চড়াও হলেন আরেকজনের উপর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার মালবাজার (Malbazar) মহকুমার ওদলাবাড়ির বর্মনপাড়া। মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওদলাবাড়ি তৃণমুল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যও।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বর্মনপাড়া এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে এলাকার দুটি পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। রাতে সাময়িকভাবে অশান্তি থামলেও মঙ্গলবার সকালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। মঙ্গলবার বর্মনপাড়া এলাকায় রাস্তার ওপর চলে দুই পরিবারের প্রবল মাড়ামাড়ি। রড, দা, লাঠি একে অপরের উপর হামলা করে। এতেই দুই পক্ষের মোট ১২ জন আহত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের ওদলাবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেশ কয়েকজনকে শিলিগুড়িতে রেফার করা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যান মাল ব্লকের তৃণমুল সভাপতি তমাল ঘোষ এবং ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী এবং মালবাজার পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশি টহল চলছে বর্মন পাড়া এলাকায়।
[আরও পড়ুন: বহরমপুর হত্যাকাণ্ড: জুতোয় লেগে থাকা রক্তই চিনিয়ে দিল সুশান্তকে! পুলিশ হেফাজতেও নির্বিকার ধৃত]
এ বিষয়ে বর্মন পাড়ার, ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমুলের সদস্য নিতাই বর্মন বলেন, “সোমবার রাতে গ্রামের একটি বিয়ে বাড়িতে সামান্য অশান্তি হয়। রাতেই আমি সব মিটিয়ে দিই। মঙ্গলবার আমার ছেলে অমিত বর্মন যখন সাইকেলে করে দোকানে যাচ্ছিল, তখন পথ আটকায় কমল বর্মন, মধু বর্মন এবং বাবলু বর্মন। তারপর আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। আমি এবং আমার ভাই বাঁচাতে গেলে আমাদেরও লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করে পরিবার। আমরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছি।”
অন্য পরিবারের সদস্য সদানন্দ বর্মন বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার পরিবার অন্যায় ভাবে আমাদের পরিবারের লোকজনদের রাস্তায় ফেলে মেরেছে। দা, লোহার রড এবং লাঠি দিয়ে আমাদের মেরেছে। এইভাবে গ্রামে গুন্ডামি করতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। গায়ের জোরে অশান্তি করছে নিতাই বর্মনের পরিবার।”