সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের ঘটনা পুনরাবৃত্তি পাকিস্তানেও। মহামারির সংক্রমণে জেরবার ইমরান খানের দেশ। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই চলছে জমায়েত। আরও সেই জমায়েত সরাতে গেলেই আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। শুক্রবার এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষি থাকল পাকিস্তানের করাচি। জমায়েত সরাতে গিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ বেধে যায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেই করাচির লিয়াকতাবাদ এলাকা। দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হন।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেড় হাজার মৃত্যু, করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত মার্কিন মুলুক]
পাকিস্তানে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহামারি। ইতিমধ্যে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৬৩৭ জন। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের ঘোষণা করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমারান খান। জমায়েত করা নিষিদ্ধ। সেদিকে নজর রাখতে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, লকডাউন ভাঙলে মোটা টাকা জরিমানা এমনকী হাজত বাসও হতে পারে। নিষেধাজ্ঞা ছিল নমাজের জমায়েতের উপরও। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে শুক্রবার করাচির রাস্তায় জমায়েত করেছিলেন বহু মানুষ।
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, মূলত, নমাজ পড়তেই এই জমায়েত করা হয়। পুলিশ কর্মীরা তাঁদের সরাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরে তা সংঘর্ষের চেহারা নেয়। অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা, পাথর বৃষ্টি করতে শুরু করে। পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশকিছুটা সময় লেগে যায়। গোটা ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্বভাবতই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভারতে লকডাউন চলতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত! মার্কিন সংস্থার রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ]
The post নমাজ পড়তে ভিড় করাচির রাস্তায়, হঠাতে গিয়ে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ appeared first on Sangbad Pratidin.