অর্ণব দাস, বারাসত: নেতাজি জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সাংসদ অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) ঘিরে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিআইএসএফ শূন্যে সাত রাউন্ড গুলি চালায়। রবিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়া। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।
রবিবার সকালে ভাটপাড়ায় (Bhatpara) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করতে যান সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলে বিধায়ক পবন সিং। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদানে বাধা দেওয়া হয়। সাংসদকে ঘিরে ধরে শুরু হয় বিক্ষোভ। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। যদিও বিজেপির দাবি, পুলিশ অশান্তি থামানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি।
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের কথা ভেবে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের, চালু হচ্ছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’]
অশান্তির মাঝে সাত রাউন্ড গুলি চলে। অভিযোগ, সিআইএসএফ গুলি চালায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। এরপর জগদ্দল থানার আরও পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এলাকা ফাঁকা করে দেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান সপুত্র অর্জুন সিং। শেষ পর্যন্ত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, ভাটপাড়ার প্রশাসক গোপাল রাউত নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
ভাটপাড়ার এই অশান্তি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত।বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগেও সরব বিজেপি সাংসদ। পবন সিংয়ের গলাতেও একই সুর। পুলিশের উপস্থিতিতে অশান্তি হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি বিজেপি বিধায়কের। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর মতে, অশান্তির কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তবে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অর্জুন সিং ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছেন বলেই পালটা অভিযোগ তাঁর। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অশান্তি যাতে আর না হয় তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।