নয়াদিল্লি: সাধারণ মধ্যবিত্ত নাকাল চাল-ডালের মূল্যবৃদ্ধির (Price Hike) ঝাঁজে। আর একরত্তি পড়ুয়া জর্জরিত পেনসিল-রবারের মতো পঠন-পাঠন সামগ্রীর দাম বাড়া নিয়ে। দামি বলে বাবা-মাও যে কিনে দিতে চাইছে না মোটে। বায়না করলেই মিলছে বকাঝকা। ম্যাগি খেতে চাইলেও শুনতে হচ্ছে ‘না’। কত আর সহ্য করবে খুদে!
তাই এই সমস্যার কথা স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই জানানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজের ছিব্রামউয়ের বাসিন্দা, কৃতী দুবে। প্রথম শ্রেণির এই পড়ুয়া (Class One Student) মূল্যবৃদ্ধির জেরে হওয়া তার ভোগান্তির কথা চিঠি লিখে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। আর ইতিমধ্যেই সেই চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
[আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে আগাম সতর্কতা, রোগের জীবাণু খুঁজতে এবার বাড়ি বাড়ি অভিযানে পুরসভা]
ছ’বছরের এই পড়ুয়ার মোদিকে (Narendra Modi) ‘নালিশ’, ‘আমার নাম কৃতী দুবে। ক্লাস ওয়ানে পড়ি। মোদিজি, জিনিসপত্রের দাম খুব বেড়ে গিয়েছে। এমনকী, আমার পেনসিল-রাবারও দামি হয়ে গিয়েছে। ম্যাগির দামও বেড়ে গিয়েছে। এখন নতুন পেনসিল চাইলে মা মারে। আমি কী করব? অন্য বাচ্চারা যে আমার পেনসিল চুরি করে নেয়।’ এদিকে, মেয়ের এই কীর্তি নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ায় কিছুটা লজ্জিত কৃতীর বাবা, বিশাল। পেশায় আইনজীবী বিশালের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বলতে পারেন, এটা আমার মেয়ের মন কি বাত। দিন কয়েক আগে স্কুলে পেনসিল হারিয়ে ফেলায় মেয়েকে বকেছিল মা। তখনই বলেছিল, জিনিসপত্রের কত দাম বেড়ে গিয়েছে। সেই বিষয়ে ক্ষোভ জানাতেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে মেয়ে।”
এদিকে, ভাইরাল হয়ে পড়ার পর সেই চিঠি নিয়ে চর্চা সব মহলেই। ছিব্রামউয়ের সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার জানান, তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই ওই শিশুর চিঠির কথা জানতে পেরেছেন। ছোট্ট কৃতীকে সবরকমভাবে সাহায্য করতে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যাতে তার চিঠি পৌঁছে যায়, তা নিশ্চিত করতে তিনি সাহায্য করবেন বলেই জানিয়েছেন। তাঁর আশ্বাস, চিঠিটি যাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে
যায়, তার জন্য সর্বসম্মতভাবে চেষ্টা করবেন।