সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এককালে বুলবুলিতে ধান খেত, ফলে জমিদারকে খাজনা দেওয়া কঠিন হত বাংলার গরিব চাষির পক্ষে। পঙ্গপালের হানা তারচেয়েও ভয়ংকর। ২০২০ সাল যার সাক্ষী হয়েছিল পশ্চিম ও মধ্য ভারতের একাধিক রাজ্য। সেবার রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় ও গুজরাটেও হামলা করেছিল পঙ্গপালের (Locusts) দল। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) নতুন করে ভারতে পঙ্গপালের হামলা হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে।
উদ্বেগজনক ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে প্রায় ২৫ শতাংশ বাড়বে পঙ্গপালের সংখ্যা। ফের ঝাঁকে ঝাঁকে তারা উড়ে এসে হানা দিতে পারে ভারতের কৃষিজমিগুলিতে। গবেষকদের দাবি, উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনে বংশবৃদ্ধি হচ্ছে পঙ্গপালের। এক একটি পঙ্গপাল একদিনে ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি পথ পাড়ি দিতে পারে। অতএব, বর্তমানে পূর্ব আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া পঙ্গপালের দল অদূর ভবিষ্যতে ভারতে হানা দিতেই পারে।
[আরও পড়ুন: মার্চের শুরুতেই ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম জনসভা বিহারে, একমঞ্চে রাহুল-ইয়েচুরি, থাকছেন না অনেকেই]
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন, মূল উত্তর-পশ্চিম কেনিয়া, সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়া থেকে এই পঙ্গপালের দল উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। জুন মাসের মাখামাঝি সময়ে সুদান পার করবে। উত্তর ভারত মহাসাগর বরাবর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এসে পৌঁছবে। সতর্ক না হলে তারপরেই শুরু হবে দুঃস্বপ্নের দিন।
[আরও পড়ুন: কন্ডোমে দলীয় প্রতীক, বাড়ি বাড়ি বিলি রাজনৈতিক দলগুলির, ভোটপ্রচারে নয়া হাতিয়ার অন্ধ্রে]
পঙ্গপালরা নিজেদের শরীরের ওজনের সমান খাবার খায় প্রতিদিন৷ পঙ্গপালের একটি গোটা এক দিনে যতটা খাবার খায়, তা প্রায় আড়াই হাজার মানুষের খাবার৷ প্রজননে এদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে৷ স্যাঁতস্যাঁতে জমিতেই এরা প্রজনন ঘটায়৷ তাই পঙ্গপালদের লক্ষ্য থাকে সবুজ ফসলে ভরা জমিই৷ সেই ফসল খেয়ে শেষ করে ফেলতে এদের বেশি সময় লাগে না৷