সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল, এপ্রিলের শেষে ভারতে আসছেন ব্রিটিশ (UK) প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সফর। বুধবার বরিস জানিয়ে দিলেন, ‘বন্ধু’ নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জলবায়ু নিয়ে আলোচনা করা তাঁর ভারত সফরের অন্যতম অ্যাজেন্ডা হবে।
আজ জলবায়ু নিয়ে এক ভারচুয়াল সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় তাঁকে। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মোদি ‘চমৎকার নেতৃত্ব’ দিচ্ছেন বলে জানান বরিস। বিশেষ করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে মোদির উদ্যোগের প্রশস্তি করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময়ই তিনি জানিয়ে দেন, আগামী মাসে ভারতে এলে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সামনাসামনি আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটির আগে ভারতের ‘সাহায্যপ্রার্থী’ কলম্বো]
আজ থেকে শুরু হওয়া এই ভারচুয়াল সমাবেশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। সেখানেই বরিস জনসন মোদির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ”আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এমন চমৎকার উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার জন্য সাধুবাদ জানাই। এই বিষয়ে পাশে থাকতে পেরে ব্রিটেনও গর্বিত। আমি আনন্দিত, এটির সূচনা পর্ব থেকেই ২৮টি দেশ ও সংগঠন মিলে দারুণ কাজ করছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের সময়ই ভারতে আসার কথা ছিল বরিসের। কিন্তু ব্রিটেনে বাড়তে থাকা করোনা প্রকোপের কারণে সেই সফর বাতিল হয়ে যায়। তখনই অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরি তিনি ভারতে আসবেন।
অবশেষে জানা গিয়েছে, এপ্রিলেই ভারতে আসছেন তিনি। তবে কেবল জলবায়ুই নয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা। আগামী জুনেই জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতকে। সেই সময় ওই সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিটেনে যাওয়ার কথা। তার আগে এপ্রিলে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে আর কী কী বিষয়ে কথা হয় সেদিকে তাকিয়ে থাকবে গোটা বিশ্ব।