সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনীতির পাশাপাশি একাধিক নানা বিষয়ের চর্চা যে তিনি করেন, তা সকলেরই জানা। রাজ্যের বহু সামাজিক প্রকল্পের চমকপ্রদ নাম তাঁরই দেওয়া। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘চোখের আলো’র মতো প্রকল্পের পাশাপাশি ‘ভোরের আলো’, ‘উত্তীর্ণ’, ‘উত্তরকন্যা’র মতো পর্যটন ক্ষেত্র কিংবা সচিবালয়ের নামও তাঁরই দেওয়া। এছাড়া নানাজনের নামকরণের বিষয়টিও তাঁর নখদর্পণে। তাঁর ভাষা চর্চাও আলোচনার বিষয়বস্তু। এবার বাংলা অভিধানে নতুন শব্দ সংযোজনেও এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার দিঘা প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করে তিনি বললেন, ”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। এমনিতে সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে বললাম, শুভনন্দন।”
বুধবার দিঘা সফরের শেষ দিনে দিঘায় প্রেস ক্লাবের (Press Club) সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নবনির্মিত ক্লাবের প্রশংসা করে বলেন, ”এই ক্লাবটি খুব সুন্দর হয়েছে। কলকাতার প্রেস ক্লাব এত সুন্দর নয়। ওখানে আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আর্মি ওখানে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করতে দেয় না।” এরপরই তিনি বলেন, ”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাই। সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু বাংলায় নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে শুভনন্দন হবে না কেন? আমি তাই এটা বললাম আজ।”
[আরও পড়ুন: পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিন, অশান্তি মামলায় রাজ্যকে পরামর্শ হাই কোর্টের]
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মতো গুরুদায়িত্ব সামলেও বাংলা ভাষা, সাহিত্য নিয়ে নিরন্তর চর্চা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার যে কোনও পার্ক হোক কিংবা একাধিক প্রকল্পের শ্রুতিমধুর নাম তাঁরই দেওয়া। এছাড়া সদ্যোজাতদের নামও দিয়ে থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের লেখালেখিও নিয়েও তিনি সচেতন। ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ মিলে তাঁর ১২৫টি বই রয়েছে। মাতৃভাষা নিয়ে এতটা চর্চা যাঁর, তিনি নতুন শব্দ প্রয়োগ নিয়ে ভাববেন, সেটা তো স্বাভাবিক।