সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা রাজ্য তথা শহর কলকাতা যখন করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই লড়ছে, তখনই বেশ কয়েক বছরের পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার হতে হয়েছে কলকাতার পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিমকে। যিনি কিনা মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা কোভিড (COVID-19) টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন। করোনা কালে নিজের বিশ্বস্ত সৈনিকের এই অনুপস্থিতি ব্যথিত করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee )। ফিরহাদ হাকিম-সহ রাজ্যের চার হেভিওয়েটের গ্রেপ্তারি এখন আদালতের বিষয়। তাই সেসব নিয়ে মন্তব্য করতে না চাইলেও কঠিন সময়ে ‘ববি’কে পাশে না পাওয়ার আক্ষেপ গোপন করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী। বলে দিলেন, ‘ববি সারাক্ষণ ফিল্ডে থেকে কাজ করে বেড়ায়। আর এই করোনা আবহে ওকে তিন চারদিন আটকে রেখেছে। আমরা অন্যভাবে কাজটা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু একজনের পরিবর্ত কী আর আরেকজন হয়?
ফিরহাদ (Firhad Hakim)-সুব্রতদের গ্রেপ্তারির পরই মমতা ছুটে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসে। সরাসরি ঘোষণা করেছিলেন, ‘গ্রেপ্তার করতে হলে আমাকেও করুক।’ পরে চার হেভিওয়েট সিবিআইয়ের (CBI) বিশেষ আদালতে জামিনও পান। কিন্তু সেই জামিনের নির্দেশে আবার স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। তারপর থেকে তাঁরা জেলেই আছেন। মমতা বলছেন,”আমি তো জানি ওদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছে। মহামারী আবহে প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমি বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বলতে পারি, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”
[আরও পড়ুন: ‘ডেকে অপমান করা হল মুখ্যমন্ত্রীদের’, মোদির করোনা বৈঠকে কথা বলতে না পেরে ক্ষুব্ধ মমতা]
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বারবার উঠে এসেছে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিমের নাম। তিনি বলেছেন, “ববি মাঠে নেমে কাজ করে। ওঁর টিম মাঠে নেমে কাজ করে। আর সেই ছেলেটাকে, সুব্রতদাকে তিন-চারদিন আটকে রাখল। ওদের সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে! যে ছেলেটি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দিয়েছে, সেই ছেলেটাকে… এর যোগ্য জবাব… বিচারের বাণী…আমি আশা করব…।” বলতে বলতে বারবার থেমে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হয়তো বিচারাধীন বিষয়ে বেশি বলতে চান না বলে। তবে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ,”তিন-চারদিন ববি কাজ করতে পারল না, সুব্রত দা কাজ করতে পারল না। কোথাও ডেডবডি জমেছে কিনা আমাকেই খবর নিতে হবে।”