সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দেখতে ফের ‘সারপ্রাইজ ভিজিটে’ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা আচমকাই তিনি পৌঁছে গেলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর হাসপাতাল চত্বর থেকেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, হাসপাতালগুলির পরিস্থিতির দিকে এবার থেকে তিনি নিজেই নজর রাখবেন। প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় তিনি যাবেন এসএসকেএমে। সেখানে ঘণ্টাখানেক থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিবও। তাতে নজরদারির কাজ ভাল হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই হাসপাতাল থেকেই সেই কাজ চালাতে চান তিনি।
এদিন সাংবাদিকরা তাঁর পায়ের অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে মমতা জানান, গত সপ্তাহে হাড়ের পরীক্ষা হয়েছে। আপাতত ব্যথা নেই, তবে পা ফুলে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে গিয়ে দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বেশ কয়েকদিন পায়ে প্লাস্টার নিয়ে হুইল চেয়ারে বসেই ভোটের প্রচার করেন। গত সপ্তাহে সন্ধেবেলাই তাঁকে এসএসকেএমে (SSKM) যেতে দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি পায়ের চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন সেখানে। তাই আজ তাঁকে এই সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হয়।
[আরও পড়ুন: চা বিক্রেতাদের সাহায্যে হাত বাড়াল Metro Dairy, মান বজায় রেখেই এল সস্তায় দুধের প্যাকেট]
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী প্রায়শয়ই সারপ্রাইজ ভিজিট (Surprise visit) করছিলেন সরকারি হাসপাতালগুলিতে। সেখানে একাধিক গোলমাল ধরা পড়ায় তা নিয়ে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ও চিকিৎসা পরিষেবায় ধাপে ধাপে একাধিক পদক্ষেপ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের সেই পথেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ”প্রতি বৃহস্পতিবার আমি এসএসকেএমে আসব। বিকেলে একঘণ্টা এখানে থাকব। সঙ্গে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিবও। এখান থেকে হাসপাতালগুলি মনিটারিং করা হবে। আর প্রতি ১৫ দিন অন্তর আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বৈঠক করব।”
[আরও পড়ুন: সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখাকে ফোন Mamata Banerjee-র, TMC-তে যোগদানের আহ্বান]
সামনেই করোনার (Coronavirus)তৃতীয় ঢেউ। তার প্রস্তুতিতে রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়তি সতর্কতা।সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দেখতে চান, কেমন চলছে প্রস্তুতি। এছাড়া রাজ্যের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে রোগীদের কোনও অভিযোগ থাকলে, তাও খতিয়ে দেখতে পারেন তিনি নিজে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।