স্টাফ রিপোর্টার: ফের রেলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করমণ্ডল দুর্ঘটনা থেকে বন্দে ভারতের ইঞ্জিনের ‘দুর্বলতা’,রেল বাজেট তুলে দেওয়া থেকে রেল নিরাপত্তার টাকায় ‘ফুট ম্যাসাজ’ যন্ত্র কেনা, একাধিক ইস্যুতে রেলকে বিঁধলেন মমতা। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ফের রেল মন্ত্রকের সমালোচনায় মুখর হন।
এদিন মমতা বলেন, ‘‘ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত হল কোথায় ? এত তাড়াহুড়ো করার কী আছে? এরা তো সত্যি ঘটনা লুকোতে চাইছে। কিছু তো হয়েছে। আমার কাছে সরকার আছে বলে আমি এক একদিন এক একরকম কথা বলব? দুই দিনে তদন্ত শেষ হতে পারে না। যদি সিগন্যাল সবুজ ছিল তাহলে তো নিশ্চয়ই অন্য কারও গাফিলতি ছিল।’’মমতার পর্যবেক্ষণ, ‘‘সিবিআইকে বলা হচ্ছে সব চেপে দিতে। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতে ঘরে ঘরে সিবিআই পাঠানো হচ্ছে।’’
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি বিরোধীদের, রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখার বার্তা কমিশনারের]
দুর্ঘটনার পর থেকেই লাগাতার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। কখনও লাশ লুকোনোর অভিযোগ তুলেছেন, কখনও গাফিলতির। এদিন একধাপ এগিয়ে রেলের বেহাল পরিকাঠামো সম্পর্কে সিএজি রিপোর্ট-এর উল্লেখ করেন। বলেন, ‘‘রেলে নিরাপত্তা তহবিলের টাকা দিয়ে ফুট ম্যাসাজের যন্ত্র কেনা হয়েছে। এটা বিরাট বড় কেলেঙ্কারি।’’ সরব হন বন্দে ভারত নিয়েও। বলেন, ‘‘বন্দে ভারতের নাম-কে আমি সন্মান করি। কিন্তু কেমন ইঞ্জিন নিয়ে এসেছে দেখো, একটা গাছ এসে পড়ল, বন্দে ভারতের ক্ষতি হয়ে গেল। এইরকম রেলের অবস্থা আগে দেখিনি।’’
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দান করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও তিনি দুর্ঘটনার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিনও জ্ঞানেশ্বরী, সাঁইথিয়া কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব্যর্থতার কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রী থাকার সুবাদেই আমি রেলকে হাতের তালুর মতো চিনি। সিবিআইকে কেন আগে তদন্ত দেওয়া হল? আসলে সব ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।’’ মমতার দাবি, ‘‘আগে রেলের বাজেট শোনার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করতাম। কেউ একজন ট্রেন পেলে খুশি হয়ে যেতেন। এখন রেল দফতরকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে আস্তে আস্তে।’’ ক’দিন আগেই মালদহ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘আমরা আলাদা বগি ভাড়া করে গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় ধাক্কা দিতে দিতে গিয়েছিল।’’