সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএসকে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর। দিগ্বিজয় সিংয়ের তরফে সংঘের প্রশংসাসূচক মন্তব্যের পালটা মানিকমের দাবি, এই দুই সংগঠনই ঘৃণা ও হিংসার ধারক। কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্য সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে।
রবিবার সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আরএসএস ইস্যুতে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "আরএসএস নামের এই সংগঠনটির জন্মই হয়েছে ঘৃণার উপর ভিত্তি করে। এরা দেশজুড়ে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ায়। যারা ঘৃণা ছড়ায় তাদের থেকে কী আর শেখার আছে? আল কায়দা থেকে কি কিছু শেখা যায়? আলো কায়দাও ঘৃণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া একটি জঙ্গি সংগঠন। এরা অন্য সকলকে ঘৃণা করে।" অন্যদিকে, কংগ্রেসের প্রশংসা করে মানিকম বলেন, "কংগ্রেস হল এমন একটি রাজনৈতিক দল যাদের ১৪০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। এই দল ঐক্য ও গণআন্দোলনের মডেল। খোদ মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসকে গণআন্দোলনে রূপান্তরিত করেছিলেন।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং সদ্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানীর পায়ের কাছে মাদুর পেতে বসে রয়েছেন। দিগ্বিজয় বলছেন, “এই ছবিটা খুব শক্তিশালী। কীভাবে আরএসএস তথা জনসংঘের একজন সাধারণ কর্মী নেতার পায়ের কাছে বসে থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তথা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এটাই সংগঠনের শক্তি।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে কদিন আগে এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজের দল কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সোজা রাহুল গান্ধীকে ট্যাগ করে বলে দিয়েছিলেন, সংগঠনের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা বুঝতেই পারছে না। দিগ্বিজয়ের সেই মন্তব্যের পালটা এবার আরএসএসকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা।
শুধু তাই নয় রাহুল গান্ধী প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী সম্পূর্ণরূপে জনগণের সঙ্গে রয়েছেন এবং সরকারের একচেটিয়া শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষে লড়াই করছেন। আমাদের উচিত তাঁকে সমর্থন করা। তা না করে রাহুলজিকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা কাম্য নয়।" প্রসঙ্গত, আরএসএসকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের মন্তব্য অবশ্য প্রথমবার নয়। এর আগে, তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বাংলাদেশের জামাতের সঙ্গে আরএসএসকে একসারিতে বসিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জামাত ও ভারতবর্ষের আরএসএস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁর আরও দাবি, বাংলাদেশে হিন্দু খুন হলে ভারতবর্ষে বিজেপি শক্তিশালী হবে। এপারে মুসলিম খুন হলে বাংলাদেশের জামাত শক্তিশালী হবে।
