স্টাফ রিপোর্টার: সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এই শহরে একটা ছোট বাসস্থানের স্বপ্ন দেখেছিলেন বাবা। এন্টালি এলাকায় ফ্ল্যাটের জন্য টাকা দিয়েছিলেন। নির্মাণও হয়েছে। কিন্তু কোনও কারণ না দেখিয়েই সেই ফ্ল্যাট বাবাকে দেওয়া হচ্ছে না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। বাবার এই কষ্ট দেখে নিজেই একদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখে বসল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জাহিন বিলকিস। চিঠি সে পাঠিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে। সেখান থেকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এন্টালি থানাকে।
মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এন্টালি থানা থেকে ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস জানিয়ে ফোন করা হয়। সমস্যার সমাধান করা হয় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। নবান্ন সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ওই ছাত্রীর পরিবার।
[আরও পড়ুন: তক্ষশীলার চেয়েও প্রাচীন মন্দির মিলল পাকিস্তানে, বয়স অন্তত ২৩০০ বছর]
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এই সেল রেকর্ড সময়ে সারা রাজ্যে ১১ লক্ষেরও বেশি অভিযোগের শতকরা ৯৭ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে। এটিও তেমনই একটি উদাহরণ। রফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ও দুই কন্যার জন্য ২০২০ সালে ওই এলাকায় ৬৫০ বর্গফুটের দু-কামরার ফ্ল্যাটের জন্য রিয়েল এস্টেট ডেভলপারকে ১৬ লক্ষ টাকা দেন। নির্মাণকাজের অনেকটা হয়ে গেলেও তাঁদের ‘পজেশন’ দেওয়া হয়নি। তার জন্য বৈধ কোনও কারণও দেখানো হয়নি রফিকুল ইসলামকে।
মুর্শিদাবাদের একটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে কলকাতায় আসেন রফিকুল। কলকাতায় তাঁর পরিবারের জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনতে আজীবনের সঞ্চয় একত্র করেন। ফ্ল্যাট না পাওয়ায় তিনি অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত আগস্টে তিনি মানসিক চাপ নিতে না পেরে ভেঙে পড়েন। বাবার এই স্বপ্নভঙ্গ দেখে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে চিঠি লেখে জাহিন বিলকিস। সেখান থেকে নির্দেশ পেয়ে এন্টালি থানা তৎপর হয়। সমস্যার সমাধানও তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।